পিটিআই থেকে গত কয়েক দিন ধরে বেশ কয়েকজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। দল ছেড়ে দেওয়া সব নেতা ও পদাধিকারীদের মৌলিক সদস্যপদ বাতিল করেছেন দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান।
তিনি দলের মূল কমিটির অংশীদারদের অপসারণেরও নির্দেশ দিয়েছেন। তারা আর পিটিআইয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অংশ থাকবে না এবং দলত্যাগকারীদের রেফারেন্স সংশোধন করতে সামাজিকমাধ্যমে অ্যাকাউন্টে আপডেট করা হবে।
বৃহস্পতিবার পৃথকভাবে এক বিবৃতিতে এই তথ্য দিয়েছেন। খবর ডনের।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেছেন, তার দলের নেতাকর্মীরা ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সম্পূর্ণ শক্তির মুখোমুখি’। ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ চলাকালে পিটিআইকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৫ মে, ২০২২-এর ঘটনা ‘আমাদের ফ্যাসিবাদে সূচনা করেছিল’।
ইমরান খান স্মরণ করে বলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন পিডিএম দলগুলো, যারা তখন বিরোধী দলে ছিল, তিনটি লংমার্চ করেছিল, যা ‘কোনো বাধা ছাড়াই’ তার সরকার দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। কিন্তু আমরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পূর্ণশক্তির মুখোমুখি হয়েছি। মিছিলের আগে তিনি তার দলের নেতৃত্বের ওপর ক্র্যাকডাউনের কথা স্মরণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, মাঝরাতে বাড়িঘর ভাঙা এবং পিটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপহরণ করা হয়েছে। তার পরও যারা ইসলামাবাদে পৌঁছেছে, তারা কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট এবং পুলিশের বর্বরতার মুখোমুখি হয়েছে।
পিটিআইপ্রধান বলেন, গত বছরের ঘটনা ছিল ‘শুরু’ এবং আজ ‘পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সম্পূর্ণ ক্রোধের মুখোমুখি’। ১০ হাজারেরও বেশি পিটিআই কর্মী ও সমর্থক কারাগারে, সিনিয়র নেতৃত্ব এবং কয়েকজনকে হেফাজতে নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়েছে।