একসঙ্গে দুই বোনকে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছেন ভারতের রাজস্থানের এক যুবক। জানা গেছে, পাত্রের ইচ্ছাতে এই কাণ্ড ঘটেনি। বরং প্রস্তাব এসেছিল পাত্রীপক্ষ থেকেই। এমন প্রস্তাব কেন দেওয়া হলো? রাজি হলেন কেন যুবক?
সাম্প্রতি এই অভিনব বিয়ের ঘটনাটি রাজস্থানের টোঙ্ক জেলার।
বাবু লাল মীনা টোঙ্কের সিন্দা এলাকার বাসিন্দা। বাবু লালের মেয়ে কান্তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন যুবক ওম হরি মীনা। ওম স্নাতক। অন্যদিকে কান্তা উর্দু নিয়ে এমএ পাশ করেছেন। ওমকে অপছন্দও হয়নি কান্তার। তথাপি বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে দ্বিধায় পড়েন তরুণী। কারণ তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট বোন সুমন। সকাল থেকে রাত অবধি যার দেখভাল করতে হয় কান্তাকেই। ক্লাস এইটের বেশি পড়তে পারেননি সুমন। দিদির সাহায্য ছাড়া এক পা চলতে পারেন না।
বোনের কথা ভেবেই ওমকে অভিনব প্রস্তাব দেন কান্তা। জানান, বিয়ের পর সুমন তার সঙ্গে থাকবে। এমনকী আমাকে বিয়ে করতে হলে সুমনকেও বিয়ে করত হবে। শুরুতে অস্বস্তিতে পড়লেও শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে দুই বোনকে বিয়ে করতে রাজি হন ওম।
গত ৫ মে কান্তা ও সুমনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন যুবক। ওম জানিয়েছেন, তিনি সুমনকে বিয়ে করতে চাননি। কিন্তু পাত্রীপক্ষ বোঝায়, মানসিক অসুস্থতার কারণে ওর বিয়ে হবে না। সে কারণেই একসঙ্গে তিনজনের সাত পাকে বাঁধা পড়া।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন