ক্রেমলিনে হামলা, বিধ্বস্ত ড্রোনের ছবি- নতুন বিতর্কের শঙ্কা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩, ০৭:১৪ পিএম
ক্রেমলিনে হামলা ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রকাশিত বিধ্বস্ত ড্রোনের ছবি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, তখন নতুন তথ্য সামনে আনল ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী। কিয়েভের এ দাবি নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, দেশটির ওডেসায় রাতভর যে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে, সেই ড্রোনের লেজে লেখা ছিল- ‘মস্কোর জন্য’ এবং ‘ক্রেমলিনের জন্য’। এই লেখাগুলো ড্রোন হামলা চালিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কথিত হত্যা প্রচেষ্টার একটি স্পষ্ট বার্তা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিএনএন আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনের সাউদার্ন কমান্ডের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ছবিগুলিতে ড্রোনের দুটি লেজে লেখা বার্তাগুলি দেখানো হয়েছে এবং ইউক্রেন কমান্ড বলেছে, আপাতদৃষ্টিতে এই বার্তা ‘আক্রমণের কারণ’কে ইঙ্গিত করছে।
সাউদার্ন কমান্ডের তথ্য অনুসারে, ওডেসায় ১৫টি শাহেদ-১৩১/১৩৬ ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১২টি ড্রোন ধ্বংস করেছে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং মোবাইল ফায়ার ইউনিট। বাকি তিনটি ড্রোন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে আঘাত করেছে।
এর আগে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন ক্রেমলিন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এ হামলার জন্য সরাসরি ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো। তবে কিয়েভ তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই হামলার পর থেকেই ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ড্রোন হামলার সময় পুতিন ওই ভবনে ছিলেন না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও অভিযোগ অস্বীকার করে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা পুতিন বা মস্কোয় আক্রমণ করিনি।’
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এখনও ঘটনাটি মূল্যায়ন করছেন এবং এর পেছনে কারা থাকতে পারে- সে সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
অপরদিকে রাশিয়ার সাবেক আইনপ্রণেতা ইলিয়া পোনোমারেভ সিএনএন-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার মতে, এই হামলার সঙ্গে ইউক্রেন জড়িত নয়, বরং এটি একটি পার্টিজান (পক্ষপাতমূলক গোষ্ঠী) হামলা। তার বিরুদ্ধেও রাশিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগ করে আসছে মস্কো।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেন এবং পোল্যান্ডে নির্বাসিত জীবনযাপন করা ওই আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘এটি রাশিয়ান পক্ষপাতী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটির কাজ। তবে এ ব্যাপারে আমি আর বেশি কিছু বলতে পারি না, কারণ তারা এখনও প্রকাশ্যে দায় স্বীকার করেনি।’
ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা, তা নিয়ে কিয়েভকে দায়ী করা এবং সর্বশেষ ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রকাশ করা ড্রোনের ছবি নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।