সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলি। ইনসেটে আরএসএফ। সভরিন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তা আল বুরহান। ছবি: আল জাজিরা
সুদানের রাজধানী খার্তুমে আধা-সামরিক বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এবার সেখানে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, শহরটির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের কাছে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বলেছে, খার্তুমের দক্ষিণে তাদের একটি ক্যাম্পে হামলা হয়েছে।
এর জবাবে সেনাবাহিনী বলেছে, সেনাদের সদর দপ্তর দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে আরএসএফের যোদ্ধারা। এ বিষয়ে সেনা মুখপাত্র জেনারেল নাবিল আদাল্লাহ বলেছেন, আরএসএফের যোদ্ধারা খার্তুমসহ সুদানের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। এখনও সংঘর্ষ চলমান। দেশকে রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শহরটির উত্তরে মেরোবিতে বন্দুকযুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আল আরাবিয়া টিভি সেখানে একটি সামরিক ক্যাম্প থেকে আকাশে উঠে যাওয়া ধোয়ার ছবি প্রচার করেছে।
আফ্রিকার দেশটিতে ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। তার পর থেকেই সভরিন কাউন্সিল (সার্বভৌম পরিষদ) নামের একটি পরিষদ দেশ পরিচালনা করছে। এর মূলে রয়েছেন সামরিক জেনারেলরা।
কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালোর কমান্ডের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে আরএসএফ। সভরিন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তা আল বুরহান। আরএসএফ-কে মূল সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ১০ বছর বিলম্বিত চায় আরএসএফ। তবে সেনাদের দাবি, দুই বছরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া উচিত।