উইঘুরদের রোজা বন্ধে চীনা পুলিশের গোয়েন্দাগিরি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:২৫ পিএম

উইঘুরদের রোজা বন্ধে চীনা পুলিশের গোয়েন্দাগিরি। ছবি: ডন
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে গুরুতরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগ অনেক দিনের। ওই প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রশাসনের দমনপীড়নের অভিযোগ উঠেছে বার বার। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়েছে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে।
কিন্তু কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করছে না বেইজিং। উল্টো আত্মপক্ষ সমর্থনের নামে নানা সাফাই গেয়ে যাচ্ছে চীনা প্রশাসন। এবার জানা গেল, পবিত্র রমজান মাসে উইঘুররা যাতে রোজা না রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে গুপ্তচর ব্যবহার করছে চীনা পুলিশ। সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই অভিযোগ উঠেছে চীনা পুলিশের বিরুদ্ধে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে। চীনের এক পুলিশ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, দেশটির গোয়েন্দাদের ‘কান’ বলা হয়। তারা সাধারণ নাগরিক, পুলিশ ইত্যাদি সেজে ঘুরে বেড়ায়। তাদের দেশে এই ধরনের ‘সিক্রেট এজেন্ট’ অনেক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তারাই নজর রাখছেন, কোনো উইঘুর মুসলিম রোজা রাখছেন কি না।
অবশ্য ২০১৭ সাল থেকেই উইঘুর মুসলিমদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ করেছে জিনপিং প্রশাসন। সেই সময় থেকেই কথিত পুনঃশিক্ষা শিবির গড়ে উইঘুরদের সংস্কৃতি, ধর্ম ও ভাষাকে ধ্বংস করার প্রয়াস চালাচ্ছে চীনা প্রশাসন।
গত বছর আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগের কারণেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
গত বছর প্রকাশিত জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকি হঠাৎ করেই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেছেন অনেকে। পরে তাদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি।
অভিযোগ রয়েছে, চীনা প্রশাসন উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখার পাশাপাশি তাদের ওপর অমানবিক দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে।