
প্রিন্ট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪০ পিএম
পেন্টাগনের তথ্য ফাঁস, সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ছিল ন্যাটো-রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম

আরও পড়ুন
রাশিয়া এবং ন্যাটো সামরিক জোট বছরখানেক আগে সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ঠেকেছিল। সেই সময় রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ব্রিটেনের একটি গোয়েন্দা বিমানকে প্রায় ভূপাতিত করে ফেলে। ব্রিটিশ যুদ্ধবিমানটি ভূপাতিত হলেই রাশিয়া এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেত।
মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ রোববার এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি পেন্টাগন থেকে বিভিন্ন সামরিক বিষয়ে যে তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে তা থেকে ওয়াশিংটন পোস্ট এ রিপোর্ট তৈরি করেছে।
পত্রিকার তথ্যমতে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এ ঘটনা ঘটে। অক্টোবর মাসে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এ ঘটনা পার্লামেন্টকে জানান। সে সময় তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে বলেছিলেন যে, রাশিয়া দাবি করেছে তাদের যুদ্ধবিমানের কারিগরি ত্রুটির কারণে ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিমানের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে গেছে, ওই ঘটনা ইচ্ছাকৃত ছিল না।
ওয়াশিংটন পোস্ট যে ডকুমেন্ট হাতে পেয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে, আমেরিকার রাজকীয় বিমান বাহিনীর গোয়েন্দা বিমান প্রায় ভূপতিত হওয়ার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। গত অক্টোবরে ব্রিটিশ সরকার জানায় যে, রাশিয়ার দুটি সুখোই এসইউ-২৭ জঙ্গিবিমান কৃষ্ণ সাগরের আকাশে ব্রিটেনের ওই গোয়েন্দা বিমানকে বাধা দেয়। সে সময় রাশিয়ার একটি বিমান থেকে ব্রিটিশ বিমানের কাছেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে যদি ব্রিটিশ বিমানটি ভূপাতিত হতো তাহলে ন্যাটো জোটের সামনে আর্টিকেল ফাইভ বাস্তবায়নের প্রশ্ন এসে পড়তো। তাতে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটো জোটের সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠত।
ফাঁস হওয়া এই ডকুমেন্ট সম্পর্কে আমেরিকা, ব্রিটেন অথবা রাশিয়া কেউই কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, এ ঘটনার পর কৃষ্ণ সাগরের আকাশে ব্রিটেন গোয়েন্দা বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়। এর আওতায় ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিমানগুলোকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।