চীনা প্রেসিডেন্ট ও সৌদি যুবরাজ। ডিসেম্বরে জিনপিংয়ের সৌদি সফরকালে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
সাংহাই সহযোগিতা সংস্থায় (এসসিও) যোগ দিচ্ছে সৌদি আরব। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পরপরই সংস্থাটিতে যোগ দেওয়ার কথা সামনে এলো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার সৌদি সরকারের এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। কারণ মার্কিন সরকারের নিরাপত্তা উদ্বেগ সত্ত্বেও রিয়াদ চীনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, সৌদি আরবের মন্ত্রিসভা সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে একটি সংলাপ অংশীদারের (ডায়ালগ পার্টনার) মর্যাদা দেওয়া সংক্রান্ত স্মারকলিপি অনুমোদন করেছে।
এসসিও হলো চীন, ভারত এবং রাশিয়াসহ ইউরেশিয়ার বেশিরভাগ দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ইউনিয়ন। ২০০১ সালে রাশিয়া, চীন এবং মধ্য এশিয়ার সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত।
এ অঞ্চলে পশ্চিমা প্রভাব মোকাবিলায় একটি বৃহত্তর ভূমিকা পালন করার জন্য এটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ভারত ও পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংস্থাটি আরও প্রসারিত হয়েছে। ইরানও গত বছর পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য নথিতে সই করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সৌদি আরব সফরের সময় এসসিও-তে রিয়াদের যোগদানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সংলাপ অংশীদারের মর্যাদা সংস্থাটির একবারে প্রথম পদক্ষেপ। মধ্য-মেয়াদে সৌদি আরবকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার আগে ডায়ালগ পার্টনারের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।