এমবিএসকে সৌদি-ইরান সম্পর্কের মাহাত্ম্য বোঝালেন জিনপিং
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:০০ পিএম
![এমবিএসকে সৌদি-ইরান সম্পর্কের মাহাত্ম্য বোঝালেন জিনপিং](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/03/28/image-659507-1680012015.jpg)
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, শি’র রিয়াদ সফরকালের ছবি। সূত্র: আনাদোলু
সম্প্রতি দীর্ঘ সাত বছরের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে চুক্তি করেছে ইরান ও সৌদি আরব। এছাড়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দূতাবাস চালুর বিষয়ে সম্মত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই মুসলিম দেশ।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে (এমবিএস) বলেছেন, সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন আঞ্চলিক সংহতিকে শক্তিশালী করবে।
প্রসঙ্গত, চীনের মধ্যস্থতায় গত ১০ মার্চ দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তি সই হয়। ওই অনুষ্ঠানে দুই দেশের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি চীনা প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, মঙ্গলবার সৌদি যুবরাজ এমবিএসকে ফোন করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, বেইজিংয়ে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক সফল সংলাপ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করেছে, সেইসঙ্গে এটি আঞ্চলিক সংহতিকে শক্তিশালী করবে এবং এ অঞ্চলে উত্তেজনা কমিয়ে দেবে। চীন এই প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আরবাঞ্চলে এমবিএস নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীও। কার্যত তাকেই সৌদি আরবের শাসক বলে মনে করা হয়।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এমবিএসকে বলেছেন, চীন ও আরব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যতকে এগিয়ে নিতে সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক বেইজিং।
এ সময় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স এমবিএস চীনা প্রেসিডেন্টকে বলেন, সৌদি আরব-ইরান সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের সমর্থনের জন্য রিয়াদ আন্তরিকভাবে বেইজিংকে স্বাগত জানায়। একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে এটি চীনের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।
সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার চুক্তি করার পর থেকে সৌদি আরব এবং ইরানের শীর্ষ কূটনীতিকরা এখন পর্যন্ত দুইবার ফোনে কথা বলেছেন। তাছাড়া চলমান রমজান মাসেই বৈঠকে বসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইরান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।