ইউক্রেনের বাখমুত এখন কিলিং জোন। ছবি: গার্ডিয়ান
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রুশ বাহিনী ও রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। অন্যদিকে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রাণপণ লড়াই করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। বিগত সাত মাস ধরে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী।
এমন প্রেক্ষাপটে বাখমুত শহরের বর্তমান পরিস্থিতিকে 'কিলিং জোন' (হত্যাযজ্ঞের অঞ্চল) হিসেবে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদন। সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরোধের মুখে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ আর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারছে না। তারা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত চার দিনে ওয়াগনার গ্রুপের বাহিনী পূর্ব বাখমুতের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী পশ্চিম বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। এ ছাড়া বাখমুত নদীর ওপর নির্মিত প্রধান সেতুগুলোরও নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে ইউক্রেন। এসব ব্রিজকেই এখন ফ্রন্টলাইন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো সুরক্ষিত ভবন থেকে পশ্চিমে গুলি চালাতে সক্ষম হচ্ছে। ফলে এলাকাটি একটি হত্যাযজ্ঞ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সম্ভবত ওয়াগনার বাহিনীর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
এদিকে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পর শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানীর প্রায় পুরো এলাকায় জ্বালানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। রাশিয়ার অন্তত ৮১ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় অবকাঠামো ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বৃহস্পতিবার চালানো ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে অন্তত ৯ জন নিহত হন। সেই সঙ্গে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলায় অন্তত ছয়টি কিনঝাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর প্রযুক্তি ইউক্রেনের হাতে নেই।