আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ফাইল ছবি
জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতি বছর ৮ মার্চ পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশেষ এই দিনটি পালন করা শুরু হয়েছিল সমাজে নারীদের গুরুত্ব ও অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতিসংঘের এবারের থিম হলো ‘প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে লিঙ্গসাম্য প্রতিষ্ঠা’ করা।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, লিঙ্গসাম্য একদিকে যেমন মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করে, তেমনই অন্যদিকে পৃথিবীর অনেক খুঁটিনাটি সমস্যারও সমাধান করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের এই মৌলিক অধিকারই সুনিশ্চিত নয়। মৌলিক অধিকারের ক্ষতিসাধন করে পৃথিবীর কল্যাণের ক্ষতি করা হচ্ছে।
যেভাবে শুরু হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস
এখন প্রশ্ন হলো- কীভাবে শুরু হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন? এর উত্তর জানতে হলে ফিরে যেতে হবে প্রায় এক শতাব্দী আগে। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি প্রথম জাতীয় নারী দিবস পালন করার কথা বলে। থেরেসা মালকিয়েল এই দিন বস্ত্র ব্যবসায়ীদের কথা স্মরণ করতেই বিশেষ দিন পালনের কথা বলেন। এর পরই আমেরিকানদের থেকে উৎসাহিত হয়ে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে একটি দিন নারী দিবস হিসেবে পালনের কথা বলা হয়। যদিও এর জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি তখনও।
এর পর ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কংগ্ৰেসে নারী অধিকার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ক্লারা জেটকিন একটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের কথা বলেন। সেখানেই উপস্থিত ১৭ জন নারী সদস্য তাকে সমর্থন জানান। তাদের মধ্যে ফিনল্যান্ডের প্রথম তিন সংসদ সদস্যও ছিলেন। মার্চেই দিনটির প্রাথমিক অনুষ্ঠান করা হয়। পরে ১৯১৩ সালে ৮ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ এই দিনটির বিশেষ থিম নির্বাচন করে। প্রথম থিম ছিল ‘অতীতের উদযাপন ও ভবিষ্যতের জাতিসংঘ সাধারণ সভায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। তখন থেকেই প্রতি বছর একটি বিশেষ থিম বা ভাবনা নিয়ে পালন করা হয় দিনটি।