
প্রিন্ট: ০২ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ এএম
এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই ‘গান্ধী’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৪:২৫ পিএম

কামাল কিলিকদারোগ্লু। ছবি: ডেইলি সাবাহ
আরও পড়ুন
আগামী ১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে গত ২০ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগ্লু। তিনি দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) চেয়ারম্যান।
এবারের নির্বাচনে এরদোগানকে হটাতে সিএইচপির নেতৃত্বে ৬ দলীয় জোট গঠন করে বিরোধী পক্ষ। তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে একমত হতে না পারায় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় আইপি পার্টি। বিরোধী জোটের বাকি দলগুলো সর্বসম্মতভাবে কিলিকদারোগ্লুকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিয়েছে।
৭৪ বছর বয়সি এই নেতা তুরস্কের ‘তুরস্কের গান্ধী’ নামে পরিচিত। তুরস্কের অনেকেই মনে করেন, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও অহিংস আন্দোলনের পুরোধা মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে কিলিকদারোগ্লুর সাদৃশ্য রয়েছে। সে কারণে মৃদুভাষী আচরণের জন্য অনেকে তাকে ‘তুরস্কের গান্ধী’ বলে অভিহিত করেন।
সিএইচপি একটি মধ্য-বামপন্থী দল। অর্থাৎ তুরস্কের প্রধান ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দল এটি। দলটি প্রতিষ্ঠা করেন আধুনিক তুরস্কের রূপকার মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক। ২০১০ সাল থেকে সিএইচপির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন কিলিকদারোগ্লু।
গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে কেন্দ্রীয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে সিএইচপি। সাম্প্রতিককালে দলের অনমনীয় অবস্থান বদল করেছেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক। ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট করেছেন তিনি।
সেই সঙ্গে স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের পর্দা করার অধিকার সমর্থন করেছে দলটি। অথচ কামাল আতাতুর্কের সময় দলটি যখন ক্ষমতা ছিল, তখন তুরস্কে আজান পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে বর্তমান তুরস্কের সঙ্গে অনেকটা খাপ খাইয়ে নেওয়া চেষ্টা করছে সেক্যুলার সিএইচপি।
১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন কিলিকদারোগ্লু। রাজনীতিতে নাম লেখানোর আগে আমলা হিসেবে কাজ করেছেন অর্থনীতিবিদ। তিনি ২০০২ সালে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণার পর কিলিকদারোগ্লু বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে ঐক্যের ভিত্তিতে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবেন। যদিও কিছু সহযোগীই তার ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।