তাইওয়ানের কাছে ৬১ কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম

তাইওয়ানের কাছে ৬১ কোটি ৯০ লাখ ডলার মূল্যের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের গোলাবারুদ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন এ ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ চীনকে ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে।
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সমরাস্ত্র বিক্রির এ প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ১০০টি এজিএম-৮৮বি হাইস্পিড অ্যান্টিরেডিয়েশন মিসাইল (এইচএআরএম), ২০০টি এআইএম-১২০ সি-৮ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (এএমআরএএএম), প্রশিক্ষণের জন্য লঞ্চার ও নকল মিসাইল।
পেন্টাগন বলেছে, এ সমরাস্ত্র তাইওয়ানের আকাশসীমার প্রতিরক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইপের একযোগে কাজ করার সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।
নতুন বছরে তাইপের কাছে ওয়াশিংটনের প্রথম অস্ত্র বিক্রির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে তাইওয়ান। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদে এখন পর্যন্ত তাইওয়ানের কাছে নয়বার অস্ত্র বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তাইপে অভিযোগ করে, মঙ্গলবার থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাইওয়ানের আকাশে চীনের ১৯টি জে-১০ যুদ্ধবিমান দেখা গেছে। এর মধ্য দিয়ে চীন আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এ কাজ চীন প্রায়ই করে বলে তাইপের অভিযোগ।
তবে চীন বলছে, তারা কোনো আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি। তারা যা করেছে, তা ন্যায়সংগত। কারণ, তাইওয়ান তাদের ভৌগোলিক অখণ্ডতার অংশ।
তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একটি চীনা ‘নজরদারি’ বেলুন শনাক্ত হয়। পরে বেলুনটিকে ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।