‘এটি একটি ভাল পদক্ষেপ, কিন্তু আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৭ পিএম
সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবন। ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। জাতিসংঘ বলছে, যেটুকু অ্যাকসেস (প্রবেশের অনুমতি) দেওয়া হয়েছে, সেটা যথেষ্ট নয়। তবে ‘এটি একটি ভাল পদক্ষেপ, কিন্তু আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন আছে।
গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের মতো সিরিয়ার বিস্তৃত অঞ্চলও লণ্ডভণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাও রয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেখানে জরুরি ত্রাণ পৌঁছাতে পারছিল না জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে এবার সিরীয় সরকার সেখানে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর সিরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প পরিসরে একটি সুযোগ তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করতে পারে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরীয় সরকারের মন্ত্রিসভা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এলাকা এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরের অঞ্চলসহ দেশের সব অংশে মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমতি দিয়েছে।
তবে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথস বিবিসিকে বলেছেন, ‘এটি একটি ভাল পদক্ষেপ, কিন্তু আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন।’
গ্রিফিথস ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এটি শুধু ক্রস-লাইনকে বোঝায়, ক্রস-বর্ডার নয়। মানুষের জীবন রক্ষার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে আমরা জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত ক্রসিং পয়েন্টের (আরও বেশি এলাকায় সহজে প্রবেশের অনুমতি) অনুমোদন চাইছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত শেষ অঞ্চল হলো উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশ। যেখানে একমাত্র তুরস্কের সীমান্ত হয়ে বাব আল-হাওয়া ক্রসিং দিয়ে প্রবেশের অনুমোদন রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার ভোররাতে সিরিয়া ও তুরস্ক সীমান্তের বিস্তৃত অঞ্চলে আসড়ে পড়ে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে দুই দেশে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।