পাকিস্তানে লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি, ওষুধের দাম বৃদ্ধির দাবিতে সরকারকে চিঠি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম
সম্প্রতি পাকিস্তানের মুদ্রার মান কমে যাওয়ায়, ওষুধের দাম বাড়ানোর দাবিতে সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল মেনুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিপিএমএ)। বিজনেস রেকর্ডারের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে এএনআই।
পিপিএমএর চেয়ারম্যান সাঈদ ফারুক বুখারী দেশটির গণমাধ্যম ডনকে জানিয়েছেন, সবক্ষেত্রে ওষুধের দাম ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তাদের সংগঠন।
এদিকে সাঈদ ফারুক আরও বলেন, ২০১৮ সালে এক ডলারের মূল্য ছিল ১৪০ রুপি। কিন্তু রুপির মান কমার কারণে এক ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭০ রুপিতে। এর ফলে ৪০টি ওষুধ কোম্পানি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত চিঠিতে জানিয়েছে, এক সপ্তাহ পর তারা আর উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবে না।
ওষুধ কোম্পানি ফার্মা ব্যুরোর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আয়েশা তাম্মি হক ডনকে জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলো মারাত্মক ডলার সংকটে ভুগছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে গাড়ি আমদানির জন্য সরকারের কাছে ডলার রয়েছে কিন্তু এলসি খোলা হচ্ছে না। কন্টেইনারগুলো খালাস করা হচ্ছে না। আমাদের কাঁচামাল শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া ডলারের বিপরীতে রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। প্রতি ডলারে এক মাসেই ৬০ রুপি কমেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিপর্যয় এড়াতে ওষুধ কোম্পানিগুলোর চিঠিতে বলা হয়, ওষুধ শিল্প বারবার সরকারকে ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয় করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
চিঠি পেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল মেনুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। এতে এলসি খোলার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।
অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান জানিয়েছে, বর্তমানে দেশটির রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে।