প্রথমবারের মতো ভূগর্ভস্থ বিমানঘাঁটি উন্মোচন করল ইরান। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ভূগর্ভস্থ বিমানঘাঁটির উদ্বোধন করল ইরান। এর মাধ্যমে দেশটি সামরিক সক্ষমতার আরেক ধাপ অতিক্রম করল বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম প্রেসটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনী ‘ঈগল ফরটি ফোর’ (ওকাব ৪৪) নামে বিমানবাহিনীর ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি উন্মোচন করেছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ফাইটার জেট, বোমারু বিমান এবং মনুষ্যবিহীন বিমান বা ইউএভি সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা যাবে।
খবরে বলা হয়েছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আবদেলরহিম মুসাভি মঙ্গলবার ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।
এ সময় জেনারেল বাকেরি বলেছেন, ইসরাইলসহ অন্য শত্রুদের পক্ষ থেকে দেশের ওপর যে কোনো আক্রমণ এলে ‘ঈগল ৪৪’ ও অন্যান্য বিমানঘাঁটি থেকে তার জবাব দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাহাড়ের গভীরে নির্মাণ করা কৌশলগত বিমানঘাঁটিতে রয়েছে ওয়ার্নিং জোন (সতর্কতা এলাকা), কমান্ড পোস্ট, যুদ্ধবিমান হ্যাঙ্গার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র, নেভিগেশন এবং বিমানবন্দরের সরঞ্জাম ও জ্বালানি ট্যাংকসহ বিভিন্ন বিভাগ। এটি বিভিন্ন মিশনের জন্য যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান এবং মনুষ্যবিহীন আকাশযান মোকাবিলা করার উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইরান এই ঘাঁটির তথ্য প্রকাশ্যে আনল। ওই যৌথ মহড়ায় হাজার হাজার সেনা, ১৪০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান, এক ডজন নৌযান এবং আর্টিলারি সিস্টেম অংশ নেয়, যা ইরানের জন্য একটি বার্তা বলে মনে করা হয়।
ইরানি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, অনেক আগে থেকেই ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এ রকম বেশ কিছু ভূগর্ভস্থ বিমানঘাঁটি তৈরি করেছে। তবে এই প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আনল তেহরান।