Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

আর্থিক দুরবস্থার মধ্যেই তুরস্কে কড়া নাড়ছে নির্বাচন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম

আর্থিক দুরবস্থার মধ্যেই তুরস্কে কড়া নাড়ছে নির্বাচন

রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ছবি: সংগৃহীত

গত বছর মে মাসেও তুরস্কে ৮-১০ লিরায় পাওয়া যেত এক কেজি টমেটো। আর এখন এক কেজি টমেটোর দাম ২৫ লিরা। তুরস্কে আকাশচুম্বী হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে দিগুণেরও বেশি। মুদ্রার মান কমে তলানিতে ঠেকেছে। খবর বিবিসির।
 
আঙ্কারা প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কের বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হার ৫৭ শতাংশেরও বেশি; যা গত দুই যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

সড়কের পাশে বাজার করতে আসা বয়স্ক ব্যক্তি বলছেন, আমরা এ বছর হুট করে গরিব হয়ে পড়েছি। মনে হচ্ছে পথের ধারে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬০০ শতাংশ বেড়ে গেছে, কিন্তু পেনশন বেড়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। 

দুই দশক ধরে তুরস্কের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন একে পার্টির নেতা রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সম্প্রতি জনদুর্ভোগ কমাতে পেনশন বৃদ্ধি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে সর্বনিম্ম বেতনও দিগুণ করেছেন। মুদ্রাস্ফীতির তালে তালে মেলাতে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে বেশ ভর্তুকিও দিয়েছে এরদোগান সরকার। তবুও যেন লাগাম টানতে পারছে না তুরস্ক। দেশের অর্থনীতির এমন অবস্থার মধ্যেই আগামী ১৪ মে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের এমন অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে সংকটে পড়তে পারেন এরদোগান। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়তে পারে ব্যালট পেপারে। এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন কে তা এখনো ঠিক করতে পারেনি বিরোধী দলগুলো। বিরোধী দলগুলো বলছে- ক্ষমতা এলে এরদোগানের নেওয়া অর্থনৈতিক নীতি পরিবর্তন করে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
  
এরদোগানের বিরোধী ছয়দলীয় জোটের পক্ষে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রধান কেমাল কিলিকদারোগলু। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তার নাম ঘোষণা হতে পারে।
 
ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুর নামও শোনা যাচ্ছে। এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তার নামও ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তুরস্কের অর্থনীতির বর্তমান হাল ভালো না হওয়ায় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগান ফের নির্বাচিত হতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম