‘ক্রিমিয়া আর কখনোই ইউক্রেনের হবে না’
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম
ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ।
২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলে যাওয়া কৃষ্ণসাগরীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়া আর কখনও ইউক্রেনের অংশ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ।
কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে জাগরেবের আপত্তির কথা জানিয়ে সোমবার তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিলানোভিচ বলেন, ইউক্রেনকে জার্মানির ট্যাংক সরবরাহ রাশিয়াকে চীনের আরও ঘনিষ্ঠ করবে। এটি স্পষ্ট যে, ক্রিমিয়া আরও কখনও ইউক্রেনের অংশ হবে না।
গত বছর ডিসেম্বরে ক্রোয়েশিয়ার আইনপ্রণেতারা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে সহযোগিতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশনে যোগ দেওয়ার একটি প্রস্তাব নাকচ করেন। এতে করে প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেন কোভিচ ও মিলানোভিচের মধ্যে গভীর বিরোধ প্রকাশ পেয়েছে।
মিলানোভিচ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর ‘দ্বিমুখী নীতির’ সমালোচনা করে বলেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘কসোভো আলাদা করার’ নীতিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশ দখলের অজুহাত হিসেবে কাজে লাগাতে পারে।
১৯৯৮-৯৯ সালের যু্দ্ধে নেটো যুগোস্লাভিয়ায় বোমা মেরে সার্বিয়া ও মন্টেনিগ্রোকে চাপে ফেলে আলবেনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ কসোভোর সুরক্ষা নিশ্চিত করেছিল; এরপর ২০০৮ সালে কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
সেই প্রসঙ্গ সামনে এনে মিলানোভিচ বলেন, ‘আমরা কসোভোকে স্বীকৃতি দিয়েছি, সেটি যে দেশের (সার্বিয়া), তাদের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে।’
তবে তিনি কসোভোর স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন না জানিয়ে বলেন, পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি বোঝাতেই তিনি আলবেনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাটির উদাহরণ হাজির করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বশেষ সদস্য ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ বলেছেন, ১১ মাসের যুদ্ধের সম্ভাব্য ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করুক তার দেশ, এমনটি তিনি চান না। পশ্চিমারা যা করছে তা গভীরভাবে অনৈতিক। কারণ এই যুদ্ধের কোনও সমাধান নেই।