পাকিস্তানে টিটিপির হামলায় নিহত বেড়ে ৩২

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম

পাকিস্তানে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের পেশোয়ারে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জন নিহতের খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ১৪৭ জন। সোমবার জোহরের নামাজের সময় স্থানীয় পুলিশ লাইন্স এলাকায় অবস্থিত মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী ও হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোহরের নামাজের সময় এক আত্মঘাতী হামলাকারী এ বিস্ফোরণ ঘটায়। সে নামাজের সময় সামনের কাতারে অবস্থান করছিল। আহতদের স্থানীয় লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, হামলায় মসজিদের ইমামও নিহত হয়েছেন। হামলার পর পেশোয়ার ছুটে গেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীসহ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিস্ফোরণে ৩২ নিহত হয়েছে এবং আহত শতাধিক লোককে সেখানে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বাঁচাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেশের নাগরিকদের রক্ত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মেডিকেল রেড এলার্ট জারি করে বলা হয়েছে, সকল চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি যখন মসজিদে ঢুকছিলেন তখন বিস্ফোরণ ঘটে। এটা ভয়াবহ বিস্ফোরণ ছিল। জোহরের নামাজ শুরু হওয়ামাত্রই বিস্ফোরণ ঘটে। মসজিদে ১২০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন; যার বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য।
এর আগে প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ মুসল্লি আহত হয়েছেন। তবে আত্মঘাতী হামলাকারী বেঁচে আছেন কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানানো যায়নি।
ডন জানিয়েছে, বেলা পৌনে ২টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারী। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে এবং জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে।