
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তিন দিনের সফরে রোববার মিশর পৌঁছেছেন। কায়রোতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে ফিলিস্তিন ও ইসরাইল যাওয়া কথা রয়েছে তার। গত কয়েক দিন ধরে যখন ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা চলছে, তখন মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেলেন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, রোববার কায়রো পৌঁছে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে মিশরের অথনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কায়রোর নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া লিবিয়ার নির্বাচন এবং সুদান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার খবর দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
তিন দিনের সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার তার ইসরাইলের তেলআবিব পৌঁছার কথা। সেখানে তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সরকারের অন্যান্য দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনায় অন্যান্য ইস্যুর মধ্যে প্রাধান্য পাবে দ্বি-রাষ্ট্রিক (ইসরাইল-ফিলিস্তিন) সমাধান এবং ইরান পরিস্থিতি।
সফরের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীর যাবেন এবং রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে এটি দেখার বিষয় যে, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন উগ্র ডানপন্থী জোট সরকারের অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ব্লিঙ্কেন বৈঠক করেন কিনা। কারণ গত মাসে তিনি বলেছিলেন, তিনি ইসরাইলের জোট সরকারের অংশীদারদের জনপ্রিয়তা নয়, বরং তারা কী নীতি গ্রহণ করে, তার ওপর সিদ্ধান্ত নেবেন।
নেতানিয়াহুর জোট সরকারে থাকা অতি ডানপন্থী নেতার মধ্যে রয়েছেন ইতামার বেনগভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচ। তারা ফিলিস্তিন নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব স্বীকার করতে চান না।
ইসরাইলে নতুন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। চলতি মাসেই ইসরাইলি বাহিনী ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় কমপক্ষে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খোদ ইসরাইলিরা নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে। গত ২১ জানুয়ারি তেলআবিবের বিক্ষোভে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়।