Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

আসামে ১০ লাখ চা শ্রমিকের সূক্ষ্ম দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ভিজনস্প্রিংয়ের 

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:২০ পিএম

আসামে ১০ লাখ চা শ্রমিকের সূক্ষ্ম দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ভিজনস্প্রিংয়ের 

চা শ্রমিক। ছবি: সংগৃহীত

চা পাতা সংগ্রহ একটি শিল্প, একটি বিজ্ঞানও বটে। চা তৈরির প্রথম ধাপ হলো পাতা সংগ্রহ করা। এই পাতা সংগ্রহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলো নরম হাতের স্পর্শ ও সুক্ষ্ম দৃষ্টি। 

মানসম্মত ব্ল্যাক-টি বা গ্রিন-টি এর জন্য একজন চা উত্তোলনকারীকে অবশ্যই ভালো মানের পাতা বাছাই করতে হয়।

আসামে প্রায় ৩০ বছর ধরে চা পাতা সংগ্রহ করছেন সুকুমোনি কর্মকার (৫১)। তিনি ইস্টমোজেকে বলেন, চা পাতা বাছাইয়ের জন্য সুক্ষ্ম দৃষ্টিশক্তি থাকা খুবই জরুরি। গুণগত মানের চায়ের জন্য চোখের জ্যোতি ভালো হতে হয়। 

একজন চা পাতা সংগ্রাহককে পাতা সংগ্রহের সময় সচেতন থাকতে হয়। কোন পাতা কেমন তা নির্বাচন করতে হয়। ভালো পাতা সংগ্রহ করলে চায়ের মান ভালো হবে। আর মানহীন পাতার চায়ের গুণগত মানও খারাপ হবে।

সুকুমোনির মতো আরেকজন চা পাতা সংগ্রাহক হলেন, সুমিত্রা বেগ। তিনি সম্প্রতি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। অর্থাৎ আর চা সংগ্রহ করছেন না তিনি। সুমিত্রা বলেন, আমার চোখে সমস্যা ছিল, আমি ভালো পাতা বাছাই করতে পারতাম না, তাই এই পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেছি।

আসামের অনেক চা পাতা সংগ্রাহকের দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা রয়েছে। এ অঞ্চলের অনেক নিম্নআয়ের মানুষ চশমা কেনার মতোও স্বাবলম্বী নয়। এর ফলে পেশাগত জীবনে কাজ করতে সমস্যার মুখোমুখি হন তারা।

চা পাতা উত্তোলনকারীদের এ সমস্যার সমাধানে মাঠে নেমেছে ভিজনস্প্রিং নামক একটি সামাজিক সংগঠন। আগামী পাঁচ বছর আসাম অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণির কারিগরদের চশমা সরবরাহ করার লক্ষ্য তাদের। 

সংগঠনটির লক্ষ্য ১০ লাখ নিম্নআয়ের শ্রমিকদের চশমা সংগ্রহ করবে তারা। ১০ লাখ মানুষের জন্য ৬ লাখ চশমার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

ভিজনস্প্রিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনশু তেনাজা জানিয়েছেন, আমরা দেখেছি ভারতে অনেক মানুষের চশমা প্রয়োজন। আর ভিজনস্প্রিং তা পূরণ করতে পারবে। হাসপাতাল, সরকারি এজেন্সি, বিভিন্ন কারিগরি কাজের শ্রমিকদের চশমা দরকার। সুক্ষ্ম অনেক কাজ করতে গেলে ছোট ছোট জিনিস দেখার জন্য চশমা অতীব জরুরি। 

২০১৪ সালে আসামের চায়ের বাগানগুলোতে শ্রমিকদের চক্ষু পরীক্ষা শুরু করে ভিজনস্প্রিং। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৯ হাজার শ্রমিকের চক্ষু পরীক্ষা করেছে সংগঠনটি। 

একই সময়ে ৩৫ হাজার শ্রমিককে চশমা সরবরাহ করেছে সংগঠনটি। ভারতের দরজি, নারিকেল, কফিসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টিশক্তি উন্নয়নেও কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির। 

আসামের পাশাপাশি বাংলাদেশ, ঘানা, কেনিয়া ও উগান্ডার এসব পেশাজীবীর দৃষ্টিশক্তি উন্নয়নেও কাজ করার কথা জানিয়েছে ভিজনস্প্রিং নামের এই সংগঠন। 

তথ্যসূত্র: ইস্টমোজো
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম