রেকর্ড ভাঙা উড্ডয়ন বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্লেনের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:০৮ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশপথে ছয় ঘন্টা সময় কাটিয়ে নতুন রেকর্ড করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ।
এই পরীক্ষা চলাকালীন ‘স্ট্রাটোলঞ্চ রক’ নামের প্লেনটি ক্যালিফোর্নিয়ার মোহাভি মরুভূমির ওপর উড়েছে। আর এটি দুইশ ২০ টন পর্যন্ত পেলোড বহন করতে পারে। এর নকশা হয়েছে হাইপারসনিক যান বহন ও উৎক্ষেপণের মতো বিষয়গুলো মাথায় রেখে।
এর ডানা একশ ১৭ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত, যা একটি রাগবি মাঠের চেয়েও দীর্ঘ। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ছয়টি ‘বোয়িং ৭৪৭’ প্লেনের ইঞ্জিন।
“আমাদের চমকপ্রদ দল পরীক্ষার সূচী অনুযায়ী অগ্রগতি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কঠোর পরিশ্রমের কারণেই আমরা একটি ‘নিরাপদ বিচ্ছেদ’ ব্যবস্থা ও প্রথম হাইপারসনিক ফ্লাইট পরীক্ষার কাছাকাছি চলে যাচ্ছি।” --বলেন স্ট্রাটোলঞ্চ প্রধান জাকারাই ক্রেভর।
“আমাদের গ্রাহক ও জাতির জন্য হাইপারসনিক ফ্লাইট পরীক্ষা সেবা অনলাইনে নিয়ে আসায় এই বছর যা ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা উত্তেজিত।”
এই বিশাল আকারের প্লেন ব্যবহার করে মহাকাশে ‘সুবিধাজনক উপায়ে, সাশ্রয়ী মূল্যে, নিয়মিত’ যাতায়াতের প্রত্যাশা করছে কোম্পানিটি। এই একই কৌশল ব্যবহার করেছিল ভার্জিন অরবিট। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের মাটি থেকে সর্বপ্রথম মহাকাশ অভিযানের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল কোম্পানিটি। তবে, মিশনের রকেট স্যাটেলাইট স্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় অভিযানটি ব্যর্থ হয়।
শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার ‘মোহাভি এয়ার অ্যান্ড স্পেস পোর্ট’ থেকে নিজেদের দ্বিতীয় পরীক্ষা চালায় কোম্পানিটি। আর এটি কোম্পানির নিজস্ব ‘ট্যালন-এ হাইপারসনিক’ নামের পরীক্ষামূলক যান বহন করেছিল। কোম্পানির প্রত্যাশা, এই বছরের শেষ নাগাদ তারা নিজেদের প্রথম ‘ড্রপ টেস্ট’ চালাতে পারবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ পরীক্ষায় নিজেদের প্রথম ‘বিচ্ছেদ পরীক্ষা’ চালানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কৌশল ও যোগাযোগের উপায় অনুশীলন করেছে স্ট্রাটোলঞ্চের পরীক্ষক দল।
মহাকাশ উৎক্ষেপণকে তুলনামূলক বেশি নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও প্রবেশযোগ্য করার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে এই ব্যক্তিমালিকানাধীন স্পেসফ্লাইট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেন।
২০১৮ সালে অ্যালেনের মৃত্যুর পর নতুন মালিকানার অধীনে কোম্পানিটি ২০১৯ সালে নিজেদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।