বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটের স্বামীও নিহত হয়েছিলেন দুর্ঘটনায়
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৫১ পিএম
কাঠমান্ডু থেকে রোববার সকালে নেপালের পর্যটন শহর পোখরার উদ্দেশে উড়াল দেয় ইয়েতি এয়ারলাইনসের এটিআর-৭২ মডেলের একটি উড়োজাহাজ।
ক্যাপ্টেন কামাল কেসির সঙ্গে ছিলেন কো-পাইলট অঞ্জু। সকালে উড়োজাহাজটি পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয় এটি।
বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ আরোহীর মধ্যে কেউ-ই বেঁচে নেই। বিমানটির নিহত দুই পাইলটের মধ্যে একজন অঞ্জু খাতিওয়াদা। ২০০৬ সালে একইভাবে প্রাণ হারান তার স্বামী কো-পাইলট দীপক পোখারেলও। ঘটনাচক্রে সেটিও ছিল এই ইয়েতি এয়ারলাইনসেরই একটি বিমান।
স্বামীর মতোই একইভাবে প্রাণ গেল কো-পাইলট অঞ্জুর। শুধু তাই নয়, স্বপ্নপূরণের মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগেই থেমে যায় অঞ্জুর স্বপ্নযাত্রা। কারণ এই যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি সফলভাবে অবতরণ করাতে পারলেই কো-পাইলট থেকে ক্যাপ্টেন উন্নীত হতেন অঞ্জু।
যা ছিল তার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। কিন্তু কে জানত এই যাত্রায় শেষযাত্রা। স্বামী দীপকের মতোই একইভাবে প্রাণ হারাতে হবে তাকেও।
২০০৬ সালের ১২ জুন ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছিলেন অঞ্জু। কো-পাইলট দীপকসহ পোখারেল জুমলা বিমানবন্দরে আরও ৯ জন নিহত হন।
তখনই অঞ্জু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন পাইলট হয়ে তার স্বীমার স্বপ্নটা পূরণ করবেন। স্বামীকে হারানোর চার বছর পর পাইলটের ওপর প্রশিক্ষণ শেষ যুক্তরাষ্ট্র থেকে নেপালে ফিরে আসেন তিনি।
ফিরেই (এটিআর) মডেলের উড়োজাহাজ চালানোর মধ্য দিয়ে পেশাজীবন শুরু করেন অঞ্জু খাতিওয়াদা, যা দেশটির সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ বিমান। ওই এটিআর মডেলের একটি উড়োজাহাজে বিধ্বস্তে নিহত হলেন।
অঞ্জুর স্বামী দীপক প্রথমে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার চালাতেন। পরে ইয়েতি এয়ারলাইনসে পাইলট হিসেবে যোগ দেন। স্বামীকে হারানোর ১৬ বছর পর একই মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হলে তিনি। অঞ্জুর আত্মীয়রা জানান, নিহত অঞ্জু এবং দীপক রেখে গেছেন ২২ বছর বয়সি এক মেয়েসন্তানকে।