আবুধাবিতে সৌরশক্তিতে যেভাবে মিটছে পানির কষ্ট
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩১ এএম
আর পানির কষ্টে দিন পার করতে হবে না আবুধাবির উপকূলীয় বাসিন্দাদের। মধ্যপ্রাচ্যের ধনাঢ্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই রাজধানী শহরে সুপেয় পানির বাতিঘর হয়ে এলো রূপকথার ‘সূয্যিমামা’। সৌরশক্তিতেই মিটছে পানির চাহিদা।
মরুভূমির এই দেশে সামুদ্রিক পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য সৌরশক্তিকে সমাধান হিসাবে নিয়ে আসেন বেশ কিছু গবেষক ও উদ্যোক্তা। পানি বিশুদ্ধকরণে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আবুধাবির এক উদ্যোক্তা সংস্থা ‘মানহাট’ তৈরি করছে সৌরশক্তিচালিত এক ভাসমান প্রযুক্তি। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে এই পদ্ধতি করছে সংস্থাটি। সিএনএন।
গতানুগতিক প্রযুক্তির মতো কাজ করানো মানহাটের এই প্রযুক্তি। এটি সমুদ্র থেকে সরাসরি বিশুদ্ধ পানি তৈরি করে। বিদ্যুৎ ব্যবহার ছাড়া এবং উচ্ছিষ্ট লবণ তৈরি ছাড়াই পানি বিশুদ্ধ করবে এই প্রযুক্তি। মানহাটের এই যন্ত্র কাজ করছে সমুদ্রে ভেসে। বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রের ওপর পরা সূর্যের তাপ বাষ্পীভূত করার মাধ্যমে সুপেয় পানির স্তর আলাদা করে ফেলে লবণাক্ত পানি থেকে।
এরপর যন্ত্রের ভেতরে থাকা শীতল তাপমাত্রায় আবার একে পরিণত করা হবে তরলে। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা আবু দাবির খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক জানান, প্রকৃতিক পানি চক্রের মতো কাজ করে পানিকে দূষণমুক্ত রাখে এই যন্ত্র। কোনো প্রকার কার্বন নিঃসরণ ছাড়া বিশুদ্ধ পানি উৎপাদনে সক্ষমতার জন্য গত বছরের শুরুতে ‘ওয়াটার ইউরোপ ইনোভেসন পুরস্কার’ পায় মানহাটের এই যন্ত্র।
যেসব অঞ্চলে সেচের কাজে যে মিঠাপানির প্রয়োজন হয় তার চাহিদাও মেটাতে পারবে মানহাটের এই প্রযুক্তি। এর আগেও ক্যামব্রিজের একদল গবেষক পানি বিশুদ্ধকরণে সৌরশক্তি ব্যবহারের কথা বলেছেন। উপকূলীয় অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ব্যবহৃত হতে পারে এটি। ওয়াটার স্কারসিটি ফর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড হাইজিন কোম্পানি ইকুলেবের এক কর্মকর্তা বলেন, কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমাতে গতানুগতিক প্রযুক্তির বিকল্প হতে পারে এই সোলার স্টিলগুলো।