ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। মিশরের মধ্যমস্থতায় স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা থেকে তারা অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু ও বেশ কয়েকজন পিআইজে যোদ্ধা রয়েছেন।
শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ছয়শ রকেট ও মর্টান ফিলিস্তিন থেকে ইসরাইলের দিকে ছোড়া হয়েছে বলে এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
২০২১ সালের মে মাসে ১১ দিনের সংঘর্ষে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি এবং ১২ জন ইসরাইলি নিহত হওয়ার পর থেকে এই প্রথম সেখানে এতো উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
২০২১ সালের ওই সহিংসতার পর রোববার প্রথমবারের মতো গাজা উপত্যকা থেকে ছোড়া রকেট জেরুজালেমে গিয়ে পড়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
এর আগে ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার তায়াসির আল-জাবারি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। গাজা সিটির ফিলিস্তিন টাওয়ারে ছিলেন তিনি।
এ নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে দুইজন শীর্ষস্থানীয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় দুদিন ধরে চলমান ইসরাইলি হামলায় উদ্বাস্তু হয়েছে অন্তত ৪০টি ফিলিস্তিন পরিবার।
এ ছাড়া স্থানীয় ৬৫০টির বেশি আবাসন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ১১টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের আবাসন মন্ত্রণালয়।
তবে গাজায় হামলা চালিয়ে শিশুসহ বেসামরিক মানুষকে হত্যার ঘটনা অস্বীকার করেছে ইসলাইল।
ইসরাইলের দাবি, আবাসিক এলাকায় হামলা চালানো হয়নি। বরং ফিলিস্তিনি জিহাদিরা রকেট হামলা চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আর এতে প্রাণহানি হয়েছে।
এদিকে বিমান হামলার জবাবে তেলআবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা।