Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করে নতুন বিতর্কে অভিনেত্রী কঙ্গনা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০৩:৫৭ এএম

ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করে নতুন বিতর্কে অভিনেত্রী কঙ্গনা

অভিনেত্রী কঙ্গনা। ফাইল ছবি

ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করে নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। 

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, দিন কয়েক আগে এক চ্যানেলের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন বলি সুন্দরী কঙ্গনা। কঙ্গনা ওই অনুষ্ঠানে বলে বসেন, ভারত আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে। এবং ১৯৪৭ সালে যে স্বাধীনতা এসেছিল সেটা আসলে ‘ভিক্ষা’। মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল ২০১৪ সালে,সেই মর্মেই কঙ্গনার এই মত।

বিতর্কিত ওই বক্তব্যের পর থেকেই কঙ্গনাকে ব্যাপক কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে কঙ্গনাকে। ইতিমধ্যে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও জমা পড়েছে। দাবি উঠছে অবিলম্বে ‘কেড়ে নেওয়া হোক কঙ্গনার পদ্মশ্রী’ পুরস্কার।

শনিবার ফেসবুক পোস্টে নিজের মন্তব্যের সমর্থনে ফের একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে আনলেন কঙ্গনা। এদিন ‘জাস্ট টু সেট দ্য রেকর্ড স্ট্রেট’ বই থেকে বেশ কিছু উদ্ধৃতি তুলে ধরেন।

তিনি জানান, ‘এখানে খুব সুস্পষ্টভাবে বিষয়টা উপস্থাপনা করা হয়েছে, ১৮৫৭ সালে প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী সংঘবদ্ধ যুদ্ধ হয়েছিল… স্বাধীনতার স্বার্থে জীবন উত্সর্গ করেছেন সুভাষ চন্দ্র বসু, রানি লক্ষ্মীবাঈ, বীর সাভারকারজি। ১৮৫৭ সালের কথা তো আমি জানি, কিন্তু আমি জানি না ১৯৪৭ সালে কোন যুদ্ধ হয়েছিল, যদি কেউ সেই বিষয়টা আমার স্মরণে আনতে পারে আমি কৃতজ্ঞ থাকব। আমি আমার পদ্মশ্রীও ফিরিয়ে দেব সেটা জানাতে পারলে, ক্ষমাও চাইব… দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন’। 

কঙ্গনা আরও লেখেন, রানি লক্ষ্মীবাঈ-এর আত্মত্যাগের কাহিনি তিনি নিজে রুপোলি পর্দায় তুলে ধরেছেন। এবং সেই জন্য অনেক রিসার্চও করেছেন। তাঁর কথায়, জাতীয়তাবাদ আন্দোলন আচমকাই থমকে গিয়েছিল, এবং সেই জন্য তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান কংগ্রেস ও গান্ধীকে। তিনি লেখেন, ‘কেন গান্ধীজি ভগত সিং-কে মরতে দিয়েছিল? কেন নেতা বোস (সুভাষচন্দ্র বসু)-কে হত্যা করা হয়েছিল, কেন তিনি কোনওদিন গান্ধীর সমর্থন পাননি?  কেন একজন শ্বেতাঙ্গ ভারত-ভাগের মানচিত্র তৈরি করেছিল?  কেন স্বাধীনতার আনন্দে মেতে না উঠে ভারতীয়রা একে অপরকে হত্যা করতে মেতে উঠেছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজছি, দয়া করে কেউ জবাব দিন’।  

২০১৪ সালে প্রকৃত স্বাধীনতা পাওয়ার ব্যাখা দিয়ে চারবারের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে কাগজে কলমে স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু প্রকৃত জাগরণ ঘটেছে ২০১৪ সালে। একটা মৃতপ্রায় সভ্যতা নতুন করে জীবন পেয়েছে, আর সেটা এখন আকাশে ডানা মেলে উড়ছে… এখন ভারতীয়রা ইংরাজি না-জানা থাকবার জন্য তিরস্কৃত হন না, আমরা নিজেদের দেশের তৈরি জিনিস ব্যবহারে লজ্জা পাই না… সবটাই তো বলা হয়েছিল ওই সাক্ষাত্কারে, আসলে যাঁরা চোর তাঁদেরই এইসব গায়ে লাগে, সেটা নিয়ে কিছু করা যাবে না… জয় হিন্দ’। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম