কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা না ফেরানো পর্যন্ত ভোট নয়: মেহবুবা মুফতি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২১, ১১:০৮ পিএম
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত উপত্যকায় নির্বাচন হলেও তাতে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
পিডিপি ভোটে জিতলেও মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
মেহবুবা মনে করেন, জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে উপত্যকার মানুষদের আস্থা ফেরানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।
শুক্রবার কেন্দ্রকে এমনটাই ‘পরামর্শ’ দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। তার মতে, উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচন অপেক্ষা করতে পারে। তবে ভোটের আগে কাশ্মীরিদের ধূলিস্যাৎ হয়ে যাওয়া আস্থা অর্জন করাই বিজেপি সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
শুক্রবার একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে মেহবুবা বলেন, উপত্যকায় নির্বাচনের আগে জনমানসে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদের। যে আস্থায় ধাক্কা লেগে পুরোপুরি ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। মানুষজন হতাশাগ্রস্ত, আগে তাদের কাছে পৌঁছনো জরুরি। নির্বাচন তো পিছিয়ে দেওয়া যেতেই পারে।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে তাকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে সময় থেকেই ওই মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন মেহবুবাসহ উপত্যকার রাজনীতিকদের একাংশ।
সে দাবিতে এখনও অনড় মেহবুবা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠকে শামিল হওয়া নিয়েও যুক্তি দিয়েছেন। ওই বৈঠকে মেহবুবার পাশাপাশি উপত্যকার ৮টি দলের ১৪ জন রাজনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার মেহবুবা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, উপত্যকার আস্থা অর্জনে তা সহায়ক হবে। হয়তো কিছু মানুষকে তা স্বস্তিও দেবে। সে কারণেই ওই বৈঠকে হাজির হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল।
৩৭০ ধারা পুনর্বহাল যে কেবল তাদের মুখের কথা নয়, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মেহবুবা। তিনি বলেন, রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমি মুখ্যমন্ত্রী হব না। কারণ, মানুষের কাছে এই বার্তাই দিতে চাই যে এটা কেবলমাত্র স্লোগান নয়।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপত্যকার রাজনীতিকদের কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের পর ‘যথাসময়ে’ বিশেষ মর্যাদা ফিরে পেতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর। তবে তার আগে বিধানসভা ভোটের আসন পুনর্বিন্যাসে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যাতে উপত্যকায় নির্বাচন করা যায়।