নাভালনিকে ৩০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার আদেশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ১১:৩৫ পিএম
ছবি: এএফপি
বিচার শুরু হওয়ার আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনিকে ৩০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
এতে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে মস্কোর উত্তেজনা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাভালনিকে মুক্তি দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন পশ্চিমারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল-জাজিরা এমন খবর দিয়েছে।
সোমবার মস্কোর উপকণ্ঠে খিমকির পুলিশ স্টেশনে স্থাপিত আদালতে তাকে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরে বিষপ্রয়োগে মৃত্যুমুখে পড়লে জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে রোববার রাশিয়া ফেরার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পর দিন তাকে আটক রাখতে আদালতের সিদ্ধান্তের পর রুশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লোকজনকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান নাভালনি।
ইউটিউবে পোস্ট করা এক ভিডিওক্লিপে তিনি বলেন, ভয় পাবেন না, রাস্তায় নেমে আসেন। কেবল আমার জন্যই না; আপনার ও আপনার ভবিষ্যতের জন্য প্রতিবাদ করবেন।
রুশ প্রিজন সার্ভিসের নির্দেশে শেরেমেটিভো বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালে তাকে দেওয়া কারাদণ্ড স্থগিত হওয়ার শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তখন তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি দাবি করেন।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে কারাগারে থাকতে হবে। তখন আরেকটি আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন, তার স্থগিত হওয়া সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড কার্যকর করা হবে কিনা।
২৯ জানুয়ারিতে আরেকটি শুনানিতে হাজির হতে হবে নাভালনিকে। তার সাড়ে তিন বছরের স্থগিত দণ্ডের জায়গায় জেল কার্যকর করা হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই শুনানিতে।
নাভালনি সোমবার বলেছেন, তার সঙ্গে বিচারের নামে উপহাস এবং চরম অনাচার করা হচ্ছে।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেও নাভালনির প্রায় ২০০ সমর্থক এদিন পুলিশ স্টেশনের বাইরে জড়ো হয়ে তার মুক্তি দাবি করেছেন।
ওদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউও অবিলম্বে নাভালনির মুক্তি দাবি করেছে। তবে রাশিয়া এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
৪৪ বছর বয়সী নাভলনি গত বছর আগস্টে একটি অভ্যন্তরীন ফ্লাইটে সার্বিয়া থেকে মস্কো ফেরার সময় এককাপ চা পানের পরই অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন। বিমানবন্দর থেকে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
অবস্থার পরিবর্তন না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরীক্ষায় জানা যায়, সোভিয়েত আমলে তৈরি বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট নোভিচক দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।