মালির সাবেক প্রেসিডেন্ট কেইতা। ফাইল ছবি
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সেনা বিদ্রোহের পর আটক হন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকর কেইতা। বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী সেনারা জানিয়েছেন, তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট কেইতাকে ছেড়ে দিয়েছেন। ১৮ আগস্ট থেকে তিনি বিদ্রোহী সেনাদের কাছে আটকাবস্থায় ছিলেন। টানা ১০ দিন পর তার মুক্তি মেলে।
ইব্রাহিম বৌবাকর কেইতার মুক্তির বিষয়টি পরিবারও জানিয়েছে। এএফপিকে কেইতার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ৭৫ বছর বয়সী এ নেতা ছাড়া পেয়ে রাজধানীতে তার বাসায় অবস্থান করছেন।
ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে বিদ্রোহী সেনাদের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়েছে, জনগণের মুক্তির নিমিত্তে গঠিত জাতীয় কমিটির (সিএনএসপি) পক্ষ থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলকে জানাতে চাই যে প্রেসিডেন্ট কেইতাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে তার বাসায় অবস্থান করছেন। তবে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
কেইতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি বাসায় ফিরেছেন।
চলতি মাসের ১৮ তারিখ পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে এক সেনা বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী বোউবোউ সিসে ও প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকর কেইতাকে আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেন বিদ্রোহী সেনারা। তারা প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ এবং পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করতে বাধ্য করেন।
এর পরের দিন বিদ্রোহী সেনাদের চাপের মুখে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে পদত্যাগ করেন এবং সরকার ও পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। সেই থেকে বিদ্রোহী সেনাদের কাছে বন্দি অবস্থায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট।
দেশটিতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে বিদ্রোহী সেনাদের সমর্থন দিয়েছিলেন জনগণও। তারা রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে সেনাদের অভ্যার্থনা জানান।
এদিকে বিদ্রোহী সেনারা তিন বছর ক্ষমতায় থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলছেন, এই সময়ের মধ্যে তারা নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন দিয়ে মালিকে বিশ্বের দরবারে একটি স্থিতিশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরবেন।