ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পুনর্বহাল প্রস্তাব: জাতিসংঘে আবারও ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২০, ১১:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটি আবারও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি দিয়ান দিজানিস মঙ্গলবার রাতে পরিষদের এক বৈঠকে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম চালু করার যে আবেদন জানিয়েছে তা গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে ১৫ সদস্যদেশের মধ্যে ১৩টি দেশই এর বিরোধিতা করায় এই ম্যাকানিজম নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফ্রান্সের স্থায়ী প্রতিনিধি আনা গুইগুন বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আর ইরানের পরমাণু সমঝোতার অংশ নয়; কাজেই তার পক্ষে স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম চালু করার আবেদন জানানোর অধিকারই নেই।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের যে আবেদন জানিয়েছে তা মেনে নেয়া সম্ভব নয়। বৈঠকে চীনা স্থায়ী প্রতিনিধি জং জুনও একই ধরনের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত ২০ আগস্ট নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে লেখা এক চিঠিতে ইরানকে পরমাণু সমঝোতা লংঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে দেশটির বিরুদ্ধে স্ন্যাপব্যাক চালু বা সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের আবেদন জানান।সেটিও প্রত্যাখ্যান করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
এর আগে গত সপ্তাহে আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়ন করার যে চেষ্টা চালিয়েছিল তাও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রত্যাখ্যান করেছে। ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা না হলে ইরানের বিরুদ্ধে স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম চালু করা হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে পরপর দুবার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলো।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের তেহরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, এই বিশ্ব সংস্থায় ওয়াশিংটন আবার্ও একঘরে ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পম্পেরও দাম্ভিকতা এর জন্য দায়ী।