চীনা সীমান্তে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ভারতের অবস্থান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২০, ০৬:৫৭ পিএম

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বহর। ছবি: সংগৃহীত
চীনা সীমান্তের খুব কাছে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। পূর্ব লাদাখে চীনা হেলিকপ্টারগুলোর অহরহ বিচরণ বন্ধে কাঁধেবহনযোগ্য এসব ক্ষেপণাস্ত্রসহ সেনা জড়ো করা হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইর সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ উচ্চতায় রাশিয়ার তৈরি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিয়ে বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। যে কোনো বিমান ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে তার জবাব দেবে।
রাশিয়ার তৈরি এসব ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনী ব্যবহার করছে। শত্রু বিমান বা কপ্টার আমাদের অবস্থানে আসলে এগুলো ব্যবহার করা হবে সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়।
সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই ভারতীয় বাহিনী বিরোধীয় এলাকায় শত্রু বিমান চলাচল শনাক্ত করার জন্য রাডার বসিয়েছে। পাশাপাশি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে।
এ ছাড়া পূর্ব লাদাখে চীনা বিমানের মোকাবেলা করতে চলতি সপ্তাহের প্রথমে সুখোই যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে ভারত।
লাদাখে সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার কথা বলা হচ্ছে। তবে আলোচনায় সমাধান না হলে লাদাখে চীনা ‘আগ্রাসন’ ঠেকাতে প্রয়োজনে সেনা অভিযান চালানো হবে বলে সোমবার হুশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়াত।এজন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাওয়াত বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে ভারত। তবে দু’দেশের মধ্যে যদি সেনা এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হয়, তা হলে সেনা অভিযানকেই বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নেব আমরা।’
লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করা যায় পুরো বিষয়টি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল পর্যালোচনা করছেন বলেও জানান রাওয়াত।
তিনি বলেন, ‘চীনা সেনারা যেন লাদাখে না ঢুকতে পারে সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ পথে দু’দেশের বিতর্ক মিটিয়ে ফেলার পক্ষপাতী। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রেখায় আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনার সব চেষ্টা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে সেনাবাহিনী তৈরি আছে।’
প্রায় তিন মাস ধরে ভারত-চীনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়েছে চীন। বার বার তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও এ বিষয়ে এখনও কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
গালওয়ান, হটস্প্রিং, ফিঙ্গার পয়েন্ট ফোর থেকে সেনা সরালেও ভারতীয় ভূখণ্ডের প্যাংগং, দেপসাঙে এখনও ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে চীনা সেনারা।