
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে এবার সীমান্ত সংলগ্ন ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর পাশেও সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে বেইজিং।
কৈলাস পর্বতের মানস সরোবর হ্রদের তীরে ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালাতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্র বসাচ্ছে শি জিনপিং সরকার। এপ্রিলে এ কাজ শুরু হয়েছিল। এখন প্রায় শেষের পথে। খবর সিএনএন ও ইন্ডিয়া টুডের।
লাদাখের টানাপোড়েনের সময় থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর এ কাজ করে চলেছে চীন। মনে করা হচ্ছে, লিপুলেকে ভারতের রাস্তা তৈরির পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র বসাচ্ছে।
১৭ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত কৈলাসে যাওয়ার জন্য ৮০ কিমি. রাস্তা তৈরি করেছে ভারত।
স্যাটেলাইটের ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে, চীন মানস সরোবর লেকের তীরে এইচকিউ-৯ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখানে চীন এইচটি-২৩৩ রাডার সিস্টেম ইনস্টল করছে, যা মিসাইলের ফায়ার সিস্টেমের কাজ করে।
এছাড়াও একাধিক রাডার সিস্টেম লাগানো হচ্ছে, যা টার্গেটকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। মিসাইলগুলো ভারতের সীমানা থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা হবে।
এগুলো হবে মিডিয়াম রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র। পিপলস লিবারেশন আর্মি এখানে প্রথমে তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি ছোট অস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা করেছিল।
এছাড়াও অনেক হোটেল এবং ঘরও নির্মিত হয়। তবে গত কয়েক মাসে এখানে একটি হাইওয়ে, কয়েকটি নতুন হোটেল এবং নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে।
১৯৫০-এর দশকে ভারত কৈলাস পর্বতের আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে কর আদায় করত। কিন্তু ধীরে ধীরে চীন পুরো মানস সরোবরের আশপাশের এলাকা দখল করে নিয়েছে।
চীন মে এবং জুন মাসে একটি ভিডিও পোস্ট করে, যেখানে দেখানো হয়, মানস সরোবরের কাছে একটি রাস্তায় চীনের দুটি ট্যাংক চলছে।
এছাড়া ভারতের থেকে অধিকৃত এলাকাতেও সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে লাদাখে এলএসি সীমান্তে ভারত-চীন দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
এমনকি নেপালের সঙ্গে মিলে ভারতকে বারবার বিপাকে ফেলার চেষ্টাও ক্রমাগত করে চলেছে চীন।