ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বেকারদের ভাতা কমানোর নির্বাহী আদেশে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেকার-কর্মহীনদের আর ৬০০ ডলার নয়, এখন থেকে সপ্তাহে ৪০০ ডলার সহায়তা দেবে সরকার। আইনপ্রণেতাদের অনেকটা পাশ কাটিয়েই এ আদেশে সই করেন ট্রাম্প। খবর এপির।
সপ্তাহে ৬০০ ডলার বেকার ভাতার মেয়াদ জুলাইয়ে শেষ হয়ে গেছে। সেটির মেয়াদ বর্ধিত করলেও পরিমাণ কমিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জুলাই মাসে মেয়াদ চলে যাওয়ায় সপ্তাহে ৬০০ ডলারের পরিবর্তে কর্মহীন মানুষ এখন সপ্তাহে ৪০০ ডলার করে পাবেন। তবে কত দিনের জন্য এই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা বলা হয়নি। এ ৪০০ ডলারের মধ্যে ৭৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৩০০ ডলার আসবে ফেডারেল তহবিল থেকে। রাজ্য সরকারগুলোকে ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ১০০ ডলার যোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সামগ্রিক অর্থনীতি ধাক্কা খাওয়ায় ২৫ শতাংশ ব্যয় সংকোচন নীতি নেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ কারণে বেকার ভাতা ৪০০ ডলার করা হয়েছে।
নির্বাহী আদেশে ফেডারেল সরকারের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ৭০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল থেকে এ অর্থ দেয়া হবে বলে নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এ ৭০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল ২৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসা পর্যন্ত কর্মজীবীরা বর্ধিত বেকার ভাতা পাবেন। যুক্তরাষ্ট্রে এখন তিন কোটির বেশি কর্মহীন মানুষ।
ফোর্বস ডটকম এসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলেছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ ৭০ বিলিয়ন থেকে তহবিল ২৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভাড়াটেদের বাসাভাড়া না দেয়ার কারণে আইনগতভাবে ভাড়াটে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছেন। এখানে ভাড়াটেদের সরাসরি কোনো আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়নি। বাড়ির মালিকদের জন্যও কোনো আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়নি। এতে ভাড়াটেদের ভাড়া জমতে থাকবে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে ভাড়াটের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটবে।
অথচ ডেমোক্র্যাটদের প্রস্তাবে ভাড়াটেদের সরাসরি সহযোগিতা দেয়া, ফুড স্ট্যাম্প বৃদ্ধি, নগর ও রাজ্য সরকারকে ফেডারেল সহযোগিতা করার দাবি ছিল। এসবকে পাশ কাটিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করলেন।
গত ছয় মাসে কোভিড ১৯–এ যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধকোটি মানুষ।