Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

‘মোদি জিন্দাবাদ’ না বলায় বৃদ্ধ মুসলিমকে নির্যাতন, উপড়ানো হলো দাড়ি!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২০, ১১:১৫ এএম

‘মোদি জিন্দাবাদ’ না বলায় বৃদ্ধ মুসলিমকে নির্যাতন, উপড়ানো হলো দাড়ি!

নির্যাতনের শিকার গাফফার আহমেদ। ছবি-সংগৃহীত

‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘মোদি জিন্দাবাদ’ না বলার কারণে ভারতে এক বৃদ্ধ মুসলিমকে নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার দাড়িও উপড়ে ফেলা হয়েছে। ছিনতাই করা হয়েছে তার টাকার ব্যাগও। 

নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের শিকার জেলায়। 

পুলিশের বরাতে রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

নির্যাতনের শিকার ওই ব্যক্তির নাম গাফফার আহমেদ (৫২)। পেশায় তিনি অটোচালক। 

ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলো- শম্ভু দয়াল জাট (৩৫) ও রাজেন্দ্র জাট (৩০)।

গাফফার আহমেদ জানান, দুই যুবক তাকে আক্রমণ করে। তার দাড়ি উপড়ে ফেলে এবং তাকে পাকিস্তান চলে যেতে বলে। 

পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, ওই দুই যুবক তার হাতঘড়ি এবং টাকা চুরি করেছে। ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘মোদি জিন্দাবাদ’ না বলায় তার দাঁত ভেঙে ফেলেছে এবং মারধরের কারণে তার চোখ ও মুখ ফুলে গেছে। 

পুলিশ সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, শুক্রবার ভোরে এক যাত্রীকে নামিয়ে ফেরার পথে একটি গাড়ির দুই যাত্রী গাফফারের রাস্তা আটকায়। তার কাছে তামাক চায়। গাফফার তামাক এগিয়ে দিলে, ওরা উল্টো প্রত্যাখ্যান করে। তাকে ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘মোদি জিন্দাবাদ’ জোর করে বলানোর চেষ্টা করে দুই অভিযুক্ত। অস্বীকার করায় তাকে লাঠিপেটা শুরু করে দুজন। 

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

বৃদ্ধ মুসলিম গাফফার আহমেদকে নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতারকৃত ২ যুবক

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে গাফফার বলেছেন, ‘আমার অটো অন্য একটিকে গাড়িকে ছাড়িয়ে যায়। পরে দুজন লোক সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে মারধর করতে শুরু করে।

‘তারা আমাকে চড় মারে এবং আমাকে ‘মোদি জিন্দাবাদ’ জপ করতে বলে। তারা লাথি মারে এবং আমার দাড়ি উপড়ে ফেলে। 

এ ব্যাপারে শিকার জেলার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা পুষ্পেন্দ্র সিং বলেন, অভিযোগ দায়েরের পর আমরা শুক্রবার দুজনকে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আসামিরা মাদকের প্রভাবে দুর্ব্যবহার ও তাকে মারধর করেছে। 

পুলিশের আরেক কর্মকর্তা এনআইকে বলেন, মামলা দায়েরের ছয় ঘণ্টার মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অটোচালকের সঙ্গে তাদের তর্ক হয়েছিল এবং মাতাল অবস্থায় তার কাছে টাকা দাবি করেছিল।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম