হাজীদের গরম থেকে রক্ষায় নানা উদ্যোগ সৌদির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২০, ০১:৪৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
হজপূর্ববর্তী যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করেছে সৌদির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সেই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে এবং হাজীদের রোদের তীব্রতা থেকে রক্ষা করতে ভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন তারা।
হারামাইন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে।
মানি আল ওয়াদি হাসপাতাল, আরাফাত ময়দানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ফিল্ড হাসপাতাল এবং মোবাইল ক্লিনিকসহ সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সৌদির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাওফিক আল রাবিয়া বলেন, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য চিকিৎসক, নার্স এবং সহযোগী চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাতে আল আরাবিয়া উর্দু জানিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর হজ চলাকালীন রোদের উত্তাপ বেশি হবে। তাই রোদের তীব্রতার কারণে যারা অসুস্থ হয়ে পড়বে তাদের জন্যও জরুরি চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর হজযাত্রীদের সেবার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সব কর্মীর করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং সেই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান হজ চলাকালীন বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকে তাদের কর্মচারীদেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে।
হজবিষয়ক সচিব ড. হোসাইন আল শরিফ বলেন, হজ অফিসের প্রশাসনিক কর্মচারী এবং সরাসরি যারা হজযাত্রীদের সেবা করে থাকেন, তাদের সবার করোনা পরীক্ষা হবে। যাদের করোনা নেগেটিভ আসবে, শুধু তারাই এসব কাজে নিয়োগ পাবেন।
তিনি আরও বলেন, হজযাত্রীদের দলে দলে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে হজের স্থানে পাঠানো হবে। প্রত্যেক দলের সঙ্গে দক্ষ একটি মেডিকেল টিম যাবে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণ ও বিস্তার রোধের জন্যই বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার।
এদিকে এ বছর হজ করতে ইচ্ছুক এমন ১০ হাজার হজযাত্রীকে সৌদি আরবে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তার পর ৩ জিলহজ মক্কায় এসে আরও চার দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
৮ জিলহজ বাদ ফজর মুসল্লিরা রওনা হবেন মিনায়। এর মাধ্যমে শুরু হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ১২ জিলহজ পর্যন্ত, মিনা, মুজদালিফা, আরাফাত ময়দান ও মক্কায় হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন মুসল্লিরা।
আল আরাবিয়া উর্দু অবলম্বনে- মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ