বাংলাদেশি বিজ্ঞানী মনির হোসেনের উদ্ভাবনীতে আমেরিকা-কানাডায় ব্যাপক সাড়া
রাজীব আহসান, কানাডা থেকে
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০, ০২:২৯ এএম
কিছু সাধারণ খাবারের মাধ্যমে মানবদেহে রক্তের প্রোটিন (আলফা-২ ম্যাক্রোগ্লোবুনিল- এ২এম) স্বাভাবিক মাত্রায় বজায় রেখে সুস্থ জীবন যাপনের অসাধারণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. মোহাম্মদ মুনির হোসন খান।
তিনি আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া এবং চিলড্রেনস হসপিটাল অফ ফিলাডেলফিয়ায় ফ্যাকাল্টি পজিশন নিয়ে কর্মরত ছিলেন।
বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত।তার দীর্ঘ ৩০ বছরের বৈজ্ঞানিক গবেষনায় তিনি দেখিয়েছেন, মানবদেহে রক্তে এই এ২এম প্রোটিনের পরিমান কম থাকলে আমাদের কোন না কোন অসুখ শুরু হতে থাকে।
কারণ বেশিরভাগ অসুখ শুরু হয় প্রায় ৫০০ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের (প্রোটিয়াস) কোন না কোন একটি বা একাধিক প্রোটিয়াসের (অতিরিক্ত পরিমান) বিষক্রিয়ার কারণে।
এ২এম এ সব অতিরিক্ত প্রোটিয়াস আমাদের অজান্তেই সর্বক্ষণ শরীর থেকে প্রতিনিয়ত বের করে দিয়ে আমাদেরকে সুস্থ রাখে।
সত্যিই আশ্চর্জভাবে দেখা যায়, সৃষ্টিকর্তা এই এ২এম দিয়েছেন প্রাণিজগতের সব প্রাণির মধ্যে একটি জীবনরক্ষাকারী প্রোটিন হিসাবে৷
ডা. মোহাম্মদ মুনির হোসন খানের উদ্ভাবিত কিছু সাধারণ এবং সহজলভ্য খাদ্যতালিকা অনুসরন করে পৃথীবির বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৫০ জন (৩০ – ৮২ বছর) গত ৫ বছর ধরে সম্পূর্ণ সুস্থভাবে জীবন যাপন করছেন৷
তিনি যুগান্তরকে বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে এদের কারোরই কোন রকম শারীরিক সমস্যা যেমন- জ্বর,সর্দি অথবা কাশিও হয়নি৷
অথচ ৫ বৎছর আগে এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষেরই কোন না কোন শারীরিক অসুস্থতা ছিল৷
প্রবাসী চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. মোহাম্মদ মুনির হোসন খান, স্যার সলিমুললাহ মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এমবিবিএস পাাস করে জাপানের কুমামতো ইউনিভারসিটি, স্কুল অফ মেডিসিন থেকে থেকে ১৯৯৩ সালে পিএইচডি ( ইমমিউনোলজি এবং মলিকিউলার প্যাথোলজি ) ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৯৪ সালে পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ নিয়ে ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকা ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া এবং টেম্পল ইউনিভার্সিটিতে যৌথ প্রজেক্টে কর্মরত ছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া এবং চিলড্রেন হসপিটাল অফ ফিলাডেলফিয়ায় ফ্যাকাল্টি পজিশন নিয়ে কর্মরত ছিলেন।
এ পর্যন্ত তিনি ৪৪টি পিয়ার রিভিউ জার্নালে পাবলিকেশন এবং তিনটি বই লিখেছেন।বর্তমানে তিনি আমেরিকায় অবসর জীবনযাপন করছেন।
তার উদ্ভাবিত এই পদ্ধতি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৫০ জনের উপর প্রয়োগ করে দেখা গেছে গত পাঁচ বছরে তাদের কোন অসুখ-বিসুখ হয়নি।
ইতিমধ্যে আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন শহরে তার পদ্ধতি গ্রহণ করে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। তবে খেতে হবে কাঁচা। কোন অবস্থাতেই তাপ ব্যবহার করা যাবে না।
দৈ – ১ কাপ
কাঁচা রসুনের কোয়া- ২ টা- কুচি করে কাটা
কাঁচা আদা- কুচি করে কাটা (১ চামচ)
কালোজিরা – ১ চামচ
পুদিনা পাতা – ৬ টি কুচি করে কাটা
• মধু - আধা চামচ
লবঙ্গের গুড়া - আধা চামচ
হলুদের গুড়া - আধা চামচ
যেকোন বেরি জাতীয় ফল: ৬ টা
আঙ্গুর-৬ টা
খেজুর-১ টা
ডুমুর - ১ টা- কুচি করে কাটা
২টি লেবুর রস
ডিম- ১ টা
উপদেশ
পানি – ৩ লিটার (২৪ ঘণ্টায় )
ঘুম- ৭-৮ ঘণ্টা (২৪ ঘণ্টায়)
ধুমপান / যে কোন নেশা জাতিয় পদার্থ – বর্জন