Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

শাকপাতা চাষ করেই মাসে ৮০ হাজার টাকা আয় করেন এই ব্যক্তি!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২০, ০২:৪০ পিএম

শাকপাতা চাষ করেই মাসে ৮০ হাজার টাকা আয় করেন এই ব্যক্তি!

সালাদের শাকপাতা চাষ করেই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন ভারতের চেন্নাইয়ের বিদ্যাধরণ নারায়ণ নামে এক ব্যক্তি। 

শুধু লেটুস, আলফা-আলফা শাক চাষ করে প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। 

বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নারায়ণের সংস্থার নাম ‘শাখি মাইক্রোগ্রিনস’। 

আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে শাকপাতার ব্যবসা শুরু করেন বিদ্যাধরণ। তবে ২০১৪ সাল থেকে তিনি চাষাবাদ করতে শুরু করেন। সে সময় বিদ্যাধরণের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।

খুব বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারেননি নারায়ণ। চাষাবাদে কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না তার। তবে চাষাবাদের প্রতি তার ঝোঁক বরাবরই ছিল।

২০১৪ সালে চেন্নাই থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে উথিরামেরুরে তিন লাখ টাকা দিয়ে দেড় একর জমি কেনেন।

এর পর চাকরি ছেড়ে নিজের একটি সংস্থা চালু করেন তিনি। নিজের সংস্থার নাম দেন ‘গ্রাসরুট ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ২০০৩’। এই সংস্থা মূলত শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করত।

নিজের সংস্থা চালানোর ফাঁকেই তিনি কেনা জমিতে চাষাবাদও শুরু করেন। 

প্রথমে পালা করে বর্ষায় ধান এবং ধান উঠে যাওয়ার পর শীতে বাদাম চাষ করতে শুরু করেন। কিন্তু প্রথম প্রথম হতাশই হয়েছিলেন নারায়ণ। বিষয়টি যতখানি সহজ ও লাভজনক মনে করেছিলেন, ততটা একেবারেই ছিল না।

বছরে ধান চাষ করে মাত্র তিন হাজার এবং বাদাম চাষ করে ২০ হাজার টাকা লাভ করেছিলেন। আর চাষাবাদে যা পরিশ্রম এবং টাকা ইনভেস্ট করেছিলেন, সেগুলো বাদ দিয়ে তার বছরে লাভ হয়েছিল মাত্র ১০ হাজার টাকা।

প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় চাষাবাদই ছেড়ে দেন তিনি। তার বেসরকারি সংস্থাও ভালো চলছিল না। ২০১৩ নাগাদ তিনি এগুলো বন্ধ করে গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। সেটিও তেমন চলেনি।

শেষে ২০১৪ সাল নাগাদ তিনি ফের চাষাবাদ নিয়ে কিছু একটা শুরু করার কথা ভাবেন। এবার আর ধান-বাদাম নয়, কোকোপিট-ট্রে কিনে তার মধ্যেই শুরু করেন শাকপাতা চাষ। এবার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিজেরাই ১০ ফুট/১০ ফুটের একটি ঘরে চাষ শুরু করেন।

সূর্যমুখী, গাজর, বিট, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, আলফা-আলফা এবং সরষের চাষ শুরু করেন তিনি। ২০১৭ সালে এসব ফসলের ক্রেতাও পেয়ে যান তিনি। 

২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন সুপারমার্কেটে সরবরাহ করতে শুরু করেন এগুলো।

তবে পরে লেটুস, আলফা-আলফার চাহিদা জেনে অন্য সব চাষাবাদ ছেড়ে সালাদের উপযোগী এই মাইক্রোগ্রিনস চাষ করতে শুরু করেন তিনি। 

প্রথম প্রথম প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁয় ১২ কেজি করে শাক সরবরাহ করতে শুরু করেন। এখন ৫০ কেজি করে সরবরাহ করেন। চেন্নাইয়ের বাইরেও তার ব্যবসার প্রসার ঘটেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম