Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাসের কারণে যে ‘উপকার’ হলো চীনের

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২০, ০১:২১ পিএম

করোনাভাইরাসের কারণে যে ‘উপকার’ হলো চীনের

চীনের একটি শহরের বর্তমান পরিস্থিতি।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিচ্ছিন হয়ে আছে চীন। চীনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ আপাতত বন্ধ রেখেছে বিশ্ব।

এদিকে মৃত্যুর মিছিলে আক্রান্তরা যোগ হচ্ছেন নিয়মিতই। রোববার চীনে একদিনে আরও ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নতুন করে আরও ২০২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮০ হাজার ২৬ জনে। এ নিয়ে চীনে মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯১২ জনে।

চীনসহ গোটা বিশ্ব যখন করোনা ঝড়ে কাঁপছে, তখন নতুন এক তথ্য জানা গেল, যা করোনাভাইরাসের একমাত্র ইতিবাচক বিষয়।

করোনাভাইরাসের কারণে চীনে যে একমাত্র উপকারটি হয়েছে তা হলো– বায়ুদূষণ কমেছে দেশটিতে।

বায়ুদূষণের বেলায় চীনের বিভিন্ন শহর বরাবরই তালিকার শীর্ষে থাকে। কিন্তু এবার দেখা গেল তার ব্যতিক্রম।

কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, চীনে দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে।

এ বায়ুদূষণ কমার পেছনে চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসকেই দায়ী করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, চলতি বছরে চীনের বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের মাত্রা কমে এসেছে। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেইপ্রদেশের উহানের আশপাশের এলাকায় প্রথম এই গ্যাসের মাত্রা কমে আসতে দেখা যায়। এর পর তা সারা দেশেই কমতে শুরু করে।

এর ব্যাখ্যায় নাসা বলছে, দেশটিতে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলার কারণে তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যে কারণে চলছে না মিল-ফ্যাক্টরি। রাস্তায় নেই কোনো যানবাহন। নাগরিক বর্জও নিষ্কাশিত হয়নি তেমন। এ ছাড়া করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে অনেকেই চীন ছেড়ে দেয়ায় বিভিন্ন শহরের জনসংখ্যাও কমে গেছে। আর সেই স্থবিরতায় আগের তুলনায় বায়ুদূষিত হতে পারেনি সেভাবে।

প্রসঙ্গত গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহানে উৎপত্তি ঘটে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের। এই তিন মাসে তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে অর্ধশতাধিক দেশে বিস্তার লাভ করেছে।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। ইতালিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে ।

জাপানের প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৭০৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।

ইরানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৬০০ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। জাপানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০ এবং মৃত্যু ১২। সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত ১০২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফ্রান্সে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুজনের।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম