চীনের একটি বাজারে আতঙ্কগ্রস্ত নাগরিকরা। ছবি: সংগৃহীত
চীনে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটির হুবেইপ্রদেশে কেবল রোববারই মারা গেছে ৫৬ জন। ওই অঞ্চলের উহানকেই এই করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর বলা হচ্ছে প্রথমদিন থেকে। সেখানে এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে অন্তত ৩৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর জানিয়েছে চীনের শিনহুয়া নিউজ এজেন্সি।
তবে স্থানীয়দের দাবি এ মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮২৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ হাজার ২০৫ জন।
তবে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৮০ জনেরও বেশি মানুষ।
উহানের সবচেয়ে কাছের শহর হুয়াগংয়ে করোনাভাইরাসের দৌরাত্ম্য বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শিনহুয়া নেট জানায়, উহান থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ শহরে নতুন করে ২৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং অন্তত দুজন মারা গেছেন।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণঘাতী ভাইরাসটি চীনের ৩১টি প্রদেশ এবং বিশ্বের অন্তত ২৬ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ইতিমধ্যে।
এ খবরের পর বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এরই মধ্যে চীন ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশে নতুন করে ১৭১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীন ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অষ্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
প্রসঙ্গত গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেইপ্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। সেখানকার এক সামুদ্রিক বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মহামারীর আশঙ্কায় চীনে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চীন থেকে আগতদের অনঅ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। চীনগামী এয়ারলাইনস ফ্লাইটও বন্ধ করে দিয়েছে অনেক দেশ।