সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার শুরু
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১১:৩৮ পিএম
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টা) এ বিচার শুরু হয়েছে। সিনেটের একশ’ সদস্য বিচারকের ভূমিকায় আছেন। খবর বিসিসির।
ঐতিহাসিক ও যুক্তরাষ্ট্রে বহুল আলোচিত এই বিচার নিয়ে এরইমধ্যে বিভক্ত ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান ও বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা। ডেমোক্র্যাটরা চাচ্ছেন যে করেই হোক ট্রাম্পকে সরাতে হবে। আর ক্ষমতাসীনরা ট্রাম্পকে সঙ্গী করেই ক্ষমতার বাকিটা সময় হাটতে চায়। তারা যত দ্রুত সম্ভব এই বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে।
প্রেসিডেন্টের বিচার শুরুর জন্য সোমবার রিপাবলিকানদের সিনেটর মিচ ম্যাককোনেল নিয়মকানুনের একটি খসড়া প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, দুপক্ষ বিচারের শুনানির জন্য বেশি সময় পাবে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা দুদিন মিলে ২৪ ঘণ্টা সময় পাবে।
সিনেটর ম্যাককোনেল বলেছেন, ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের অভিশংসনে যে প্রক্রিয়া অনুস্মরণ করা হয়েছিল, সেটি অবলম্বনে ট্রাম্পের বিচারের খসড়াগুলো নেয়া হয়েছে। তবে মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত হচ্ছে- ক্লিনটনের অভিশংসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বিচার প্রক্রিয়ার সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। ক্লিনটনের অভিশংসনের সময় সিনেটরদের যে সময়সীমা দেয়া হয়েছিল, তা কীভাবে, কোন কাজে ব্যবহার করবেন, সে ব্যাপারে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম ছিল না। কিন্তু এবার সিনেটকে নিয়মের মধ্যে ফেলা হয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের সিনেটররা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব এই বিচার শেষ হোক। এদিকে ট্রাম্পও চাইছেন সিনেটররা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ থেকে আসা অভিযোগ দ্রুত খারিজ করে দিক।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কংগ্রেসে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং কংগ্রেসের কাজে বাধার সৃষ্টি করেছেন। এই দুটি অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬ জানুয়ারি সিনেটে দাখিল করা হয়।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগের প্রথমটি হচ্ছে- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের সরকারের কাছে তাকে নভেম্বরে পুনঃনির্বাচিত হতে সাহায্য করতে সহায়তা চেয়েছেন। দ্বিতীয় অভিযোগটি হচ্ছে, গত বছর অভিশংসন শুনানিতে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য দিতে অসম্মতি জানান ট্রাম্প। এর মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের কাজে বাধা দেন।