
প্রায় ছয় মাস গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি মিলেছে কাশ্মীরের পাঁচ রাজনীতিবিদের।
আন্তর্জাতিক মহলের চাপে পড়ে বছরের প্রথম দিনেই জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন তাদের মুক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এই পাঁচ কাশ্মীরি রাজনীতিবিদের মধ্যে তিন সাবেক বিধায়ক রয়েছেন।
তবে রাজ্যের তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, তার ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মুক্তি মিলছে না। তারা গৃহবন্দিই থাকবেন বলে কাশ্মীরের প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
বন্দিদশা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) আলতাফ কালু, শওকত গনাই ও সালমান সাগর। এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নিজামুদ্দিন ভাট ও মুখতার বাঁধ।
সালমান সাগর শ্রীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারতের সংবিধান থেকে বাতিলের পর ওই অঞ্চলটিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই আইন বহালের দাবিতে কাশ্মীরের লাখো লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
সেই উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে রাজ্যের তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ উপত্যকাটির শতাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আটক করেছিল রাজ্য পুলিশ।
একই সঙ্গে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় কাশ্মীরে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয় জুম্মু-কাশ্মীরে।
তবে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে কাশ্মীরের এসব বন্দি নেতাকে মুক্তি দিতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে ভারতের ওপর। তা ছাড়া স্থানীয়রাও এ বিষয়ে সরব হয়ে ওঠে।
অবশেষে গৃহবন্দি পাঁচ কাশ্মীরি নেতাকে মুক্তি দিল ভারত সরকার।