
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০২ এএম
সোলাইমানির হাতে ব্রিটিশ সেনাদের রক্ত লেগেছিল: বরিস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:২৬ পিএম

কাসেম সোলাইমানি ও বরিস জনসন। ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে বুধবার হামলা চালিয়েছে তেহরান। এরপরই এ দিন ইরানের বিরুদ্ধে এ হামলার নিন্দা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ সময় হাউস অব কমন্সে সোলাইমানিকে হত্যায় ইরানের প্রতিশোধের মন্তব্য করতে গিয়ে বরিস বলেন, সোলাইমানির হাতে ব্রিটিশ সেনাদের রক্ত লেগেছিল।
বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ হামলাকে ‘বেপরোয়া ও বিপদজ্জনক’ বলেও উল্লেখ করেন।
এ দিন যুক্তরাজ্যের নিন্মকক্ষ হাউস অব কমন্সে সাপ্তাহিক অধিবেশনে প্রশ্নের জবাবে জনসন বলেন, ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যাকে গত সপ্তাহে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বাহিনী ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয়েছে, তিনি হুতি বিদ্রোহী, হিজবুল্লাহ এবং সিরিয়ার আসাদ সরকারকে সমর্থনসহ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ওই অঞ্চলে তার স্বার্থ রক্ষার জন্য (আমরা সব করতে পারি) কাজ করছে।
জনসন বলেন, ইরানের শেষ রাতের হামলায় কোনো ব্রিটিশ কর্মী আহত হয়নি।
দেশটির লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বিদেশি ভূখণ্ডে কাউকে হত্যার বৈধতা নিয়ে জনসনকে প্রশ্ন করেন। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় ব্রিটিশ সরকারকে নিন্দা জানানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে জনসন বলেন, ‘বৈধতার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের নির্ধারণ করার কাজ নয়, কারণ এটি আমাদের অভিযান ছিল না’।
‘বেশিরভাগ দায়িত্বশীল মানুষ মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ঘাঁটি ও কর্মীদের রক্ষা করার অধিকার রাখে।
এ সময় জনসন আরও বলেন, অপ্রয়োজনীয় ব্রিটিশ সেনাদের বাগদাদ থেকে তাজিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে বুধবার ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন জোটের বিমানঘাঁটি ‘আইন আল-আসাদ’সহ অন্য একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। একের পর এক ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ঘাঁটিটিকে গুঁড়িয়ে দেয় ইরানি সামরিক বাহিনী।
এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহতের দাবি করে ইরান। তবে ট্রাম্প এ হামলার প্রতিক্রিয়া জানান, সব ঠিক আছে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।