Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা

কুয়েত যাচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার মার্কিন প্যারাট্রুপার

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৩৬ এএম

কুয়েত যাচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার মার্কিন প্যারাট্রুপার

ফাইল ছবি

ইরানের সঙ্গে তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই কুয়েতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্যারাট্রুপার পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেনা পাঠানোর তোরজোড় ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

 ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্কিন সেনাবাহিনীর ৮২তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনকে কুয়েতে দ্রুত সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওইদিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে সামরিক একাডেমিতে সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন রয়টার্সের সাংবাদিক।

সেখানে ৬০০ সেনা সদস্যকে প্রথম ধাপে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। সেনাদের অনেকেরই যুদ্ধের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাদের বেশিরভাগই তরুণ। এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন তারা।

এক সেনা সদস্য উৎসাহ নিয়ে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধে যাচ্ছি, ব্রো।’ 

এ সময় সে দুই হাতে থাম্বস আপ চিহ্ন দেখায় তারা। এই সেনাদের অনেকেই জীবনের প্রথম কোনো যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছেন। এ সময় তাদেরকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে প্রস্তুত হতে দেখা গেছে। অনেককে আবার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ফোনালাপ করতেও দেখা গেছে। 

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের স্থপতি হিসেবে পরিচিত  জেনারেল সোলাইমানিকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এরপরই পাল্টে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দৃশ্যপট। বেজে উঠেছে আরেকটি যুদ্ধের দামামা। সেই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের দেড় দশক পর ইরাকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও দেশটি ফের আঞ্চলিক সংঘাতের কেন্দ্রে চলে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সোলেমানির হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের চিত্র মুহূর্তেই পাল্টে গেল। এ হত্যাকাণ্ড ট্রাম্পকে স্বস্তি দিলেও মধ্যপ্রাচ্যে রক্ত ঝরাবে। 

সম্প্রতি ইরাকের বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কম্পাউন্ডে হামলা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় তারা কম্পাউন্ডের কাছে প্রহরা চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলায় উসকানির জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন। এর জন্য ইরানকে চরম মূল্য দিতে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তার এ ঘোষণার পরই মার্কিন হামলায় নিহত হন জেনারেল সোলাইমানি।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম