পাশে থাকায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ পারভেজ মোশাররফের
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:০৪ এএম
হাসপাতালের বেডে পাকিস্তানের সাবেক একনায়ক পারভেজ মোশাররফ। ছবি: এএফপি
দুঃসময়ে পাশে থাকায় সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ।
বুধবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ফুটেজে দেখা গেছে, হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা পারভেজ মোশাররফ বলছেন, আইনি দলের সঙ্গে পরামর্শের পরেই তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের বিচার বিভাগের ওপর আমার আস্থা রয়েছে যে তারা আমার প্রতি ন্যায়বিচার করবেন। বিচারের ক্ষেত্রে আইনের শ্রেষ্ঠত্বই গুরুত্ব পাবে বলে তিনি জানান।
ভিডিওতে তার কণ্ঠ অনেকটা ক্ষীণ শোনা গেছে। তবে বিশেষ আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে তিনি দেশে ফিরবেন কিনা; তা জানাননি সাবেক এই সামরিক শাসক।
এদিকে মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের খবরে সেনাবাহিনী ব্যাপক দুঃখিত ও ব্যথিত বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মঙ্গলবার তার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর অবৈধভাবে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারি করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এই সাজা দেয়া হয়েছে।
পাক সেনাবাহিনী বলছে, সাবেক এই জেনারেল কখনোই বিশ্বাসঘাতক হতে পারেন না। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে ন্যায়বিচার করা হবে বলে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী আশা করছে।
দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, আইনি প্রক্রিয়ায় পরিষ্কারভাবে মোশাররফের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করা হয়েছে।
পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমাদ শেঠ নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বিশেষ আদালত মঙ্গলবার ছয় বছর ধরে ঝুলে থাকা এ মামলার রায় দেন।
পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম বেসামরিক আদালতে দেশদ্রোহের অভিযোগে কোনো সাবেক সেনাপ্রধানের বিচারের রায় এসেছে।
১৯৯৯ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পারভেজ মোশাররফ এখন আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।