Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

দুজনের ডাবল সেঞ্চুরি, উদযাপন করলেন ৮০তম বিবাহবার্ষিকী

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৭ পিএম

দুজনের ডাবল সেঞ্চুরি, উদযাপন করলেন ৮০তম বিবাহবার্ষিকী

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের এক দম্পতি আশিতম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছেন। দুজনের বয়সও এখন শতবছরের ওপরে। ইতিমধ্যে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডেও নাম লিখিয়েছেন।

১৯৩৪ সালে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ক্লাসে তাদের সবকিছুর শুরু হয়েছিল। জন হ্যান্ডারসনের বয়স তখন একুশ। আর শার্লোট সবে ২০ পেরিয়েছেন।

ক্লাসের মধ্যে শার্লোটের পেছনে বসেন জন। কাঁধের ওপর দিয়ে তাকাতেই লজ্জা পান শার্লোট। পরে তারা প্রেমি জড়িয়ে যান, বিয়েও করেন। সাদাকালো এই দম্পতি রঙিন দুনিয়ায় পার করলেন শত বছর।

হ্যান্ডারসনের বয়স ১০৬ ও আর শার্লোটের ১০৫। দুজনে মিলে করে ফেললেন ডাবল সেঞ্চুরি।

এরই মধ্যে পৃথিবীতে চলতি সময়ের সবচেয়ে বয়স্ক দম্পতির খেতাব পেয়েছেন তারা। ওয়াশিংটন পোস্টকে শার্লোট বলেন, তাকে আমি একজন চমৎকার সহপাঠী ভেবেছিলাম। আমার কাঁধের ওপর দিয়ে তাকানোর পরেও রেগে যাইনি। স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলাম।

জন হ্যান্ডারসনের জন্ম ১৯১৩ সালে টেক্সাসের ফোর্ট ওর্থ এলাকায়। আট বছর বয়সে প্রথমবার রেডিও শোনেন তিনি। 

তিনি জানালেন, আমাদের এক প্রতিবেশী রেডিও নিয়ে এসেছিলেন। ওই রেডিওর অ্যান্টেনা ছিল বিশাল। রেডিওর শোয়ের সংযোগ পেতে আঙিনার সামনে রাখতে হতো সেটিকে।

১৯৩০ সালে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে অস্টিনে যান হ্যান্ডারসন। তখন অস্টিনে ৫৩ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। আর এখন ২০ লাখ।

শার্লোটের জন্ম হয়েছিল ১৯১৪ সালে। তার বয়স যখন ২০, বিমান দুর্ঘটনায় বড় বোনের স্বামী মারা যান। পরে শার্লোটের পরিবার স্থায়ী হন টেক্সাসে।

একপর্যায়ে এসে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন শার্লোট। এরপর সাক্ষাৎ হয় জন হ্যান্ডারসনের সঙ্গে। 

শার্লোট হতে চেয়েছিলেন শিক্ষক, আর জন হ্যান্ডারসন ডুবে থাকতেন ফুটবলে। খেলতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লংহর্নস দলের হয়ে। এরই মধ্যে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত সাবেক ফুটবলার হিসেবে খেতাব পেয়েছেন জন।

প্রেম শুরু করলেও বিয়ে করার জন্য বেশ খানিকটা সময়ই নেন শার্লোট। এরই মধ্যে তোড়জোড় শুর করে দেন জন। শেষ পর্যন্ত ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন তারা। আর এরপর দুজনই এক সঙ্গে পার করে দিলেন ৮০টি বছর। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম