পুতিন যেভাবে ২ দশক ধরে শাসন করছেন রাশিয়া
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:১৭ এএম
৩১ ডিসেম্বর রাশিয়া শাসনের দুই দশক পূর্ণ করতে যাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। গত ২০ বছরে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির একজন এজেন্ট ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। খবর বিবিসির।
১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিল ক্লিনটন।
গত ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রেসিডেন্ট ও ব্রিটেনের পাঁচ প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসা-যাওয়া করেছেন।
এই সময়ের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক সংকট যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসর অর্থাৎ বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে রাশিয়া।
বৈশ্বিক সংঘাত, দেশের অভ্যন্তরে নানা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে খেলাধুলার আসর আয়োজন এবং নিজের প্রচারণা- এ সবকিছুই আছে পুতিনের এই ২০ বছরে।
১৯৯৯ সালের অগাস্টে প্রথমে ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। বরিস ইয়েলেতসিনের বিদায়ের পর ৩১ শে ডিসেম্বর পুতিন প্রেসিডেন্ট হন।
কেজিবির সাবেক এ কর্মকর্তা ১৯৯৯ সালে যখন ক্ষমতাসীন হলেন তখন দ্বিতীয়বারের মতো চেচনিয়া যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। পার্টমেন্টে বোমা হামলার জবাবে ওই অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনের সূচনা হয়েছিল রাশিয়ার অস্থির দক্ষিণাঞ্চলে সংঘাতের মধ্য দিয়ে। চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনি অবরোধ করে রাখে রাশিয়ার সৈন্যরা।
২০০৩ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে গ্রোজনিকে বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
২০০০ সালের মার্চ মাসে পুতিন চেচনিয়া সফর করেন। এরপর কয়েক বছর ধরে জঙ্গি হামলায় আক্রান্ত হয় রাশিয়া। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ২০০৪ সালে বেসলান স্কুলে হামলা, যেখানে ৩৩০ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল শিশু।
২০০৯ সাল পর্যন্ত চেচনিয়ায় যুদ্ধ চালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট পুতিন। ক্ষমতার প্রথম দশকে পুতিনের সঙ্গে পশ্চিমা নেতাদের সম্পর্ক ভালোই ছিল। যদিও তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতির সমালোচক ছিলেন।
২০০৬ সালে রাশিয়া প্রথমবারের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট 'জি এইট' সম্মেলনের আয়োজন করে। এর মাধ্যমে সে জোটে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তিও ঘটে।