বউ কেনাবেচা। ছবি সংগৃহীত
মানবপাচারের অন্যতম পুরনো পন্থাই হলো বিয়ে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারীদের পাচার করা হয়। এসব নারীর শেষ পরিণতি হচ্ছে পতিতালয়।
গ্যাংয়ের সদস্যরা স্বীকার করেছে যে, তারা কমপক্ষে ৩৬ পাকিস্তানি মেয়েকে চীনে পাঠিয়েছে। চীনে তাদের পতিতাবৃত্তির জন্যই ব্যবহার করা হয়।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানবপাচারের তদন্তে নেমে তারা যৌনবৃত্তির চক্রের ১২ সন্দেহভাজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এই দলের সদস্যরা পাক তরুণীদের চীনে পাচার করত। গ্রেফতার হওয়া এই ব্যক্তিদের মধ্যে আটজন চীনের নাগরিক ও চারজন পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএএ) শীর্ষ কর্মকর্তা জামিল আহমেদ বলেন, পাকিস্তানি নারীদের চীনে পাচার করে পতিতাবৃত্তির কাজ করানোর খবর পেয়ে আমরা এসব গ্যাংয়ের ওপর নজর রাখছিলাম।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি গ্যাং এই কাজ করে। তবে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ হচ্ছে পাকিস্তানি খ্রিস্টান সংখ্যালঘু।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছিল, চীনের পাক নারীদের পাচারের সাম্প্রতিক রিপোর্ট যা, তাতে পাকিস্তানকে সতর্ক হওয়া উচিত।
কমপক্ষে পাঁচটি এশীয় দেশ থেকে চীনে ‘বউ' পাচারের ঘটনা ক্রমে বাড়ছে। ইসলামাবাদে চীনা দূতাবাসও অবৈধ, সীমান্ত পারাপার করে বিয়ে দেয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মানবপাচারের বিষয়টিও সামনে এনেছেন তারা।
সূত্র: এনডিটিভি