অবশেষে ছাড়া পেলেন রাম রহিমের সেই ‘পালিতকন্যা’
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০৬ এএম
![অবশেষে ছাড়া পেলেন রাম রহিমের সেই ‘পালিতকন্যা’](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2019/11/11/image-242653-1573449053.jpg)
পালিতকন্যা হারপ্রীতসহ রাম রহিম
২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ভারতের ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমের কথিত পালিতকন্যা হানিপ্রিত ইনসান।
চণ্ডিগড়ের কাছে একটি মহাসড়ক থেকে তাকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ।
এর পর দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর অবশেষ মুক্তি পেলেন হানিপ্রিত ইনসান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গত ৭ নভেম্বর হানিপ্রিত ইনসান কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। হরিয়ানার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হানিপ্রিতের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়ার পর হানিপ্রিতকে ওই দিন সন্ধ্যায় আম্বালার কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
গত বছর হানিপ্রিতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও রাম রহিমকে পালানোর সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
পরে তার বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ সরিয়ে দেয়ার পর জামিনের আবেদন গ্রহণ করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে যখন পঞ্চকুলার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন তার সঙ্গে ছিলেন হানিপ্রিত।
কিন্তু রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই পঞ্চকুলায় ব্যাপক সহিংসতা চালান ডেরা সচ্চা সৌদার ভক্তরা। সেই সহিংসতার ঘটনায় ৪০ জন নিহত এবং আহত হয়েছিলেন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। অভিযোগ রয়েছে- সেই তাণ্ডব হানিপ্রিতের নির্দেশেই হয়েছিল।
মূলত ওই সহিংসতায় হানিপ্রিতের যোগসাজশ থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
হানিপ্রিতের বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিটে বলা হয়েছিল, হরিয়ানার পঞ্চকুলায় সহিংসতা ছড়ানোর ক্ষেত্রে হানিপ্রিতকে সাহায্য করেছিলেন ডেরার ম্যানেজমেন্ট কমিটির আরও ৪৫ জন।
যদিও প্রথম থেকেই এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে আসছেন হানিপ্রিত।
গ্রেফতারের পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে হানিপ্রিত বলেছিলেন, ‘আমাকে যেভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে, তাতে এখন নিজেকেই নিজে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছি। চূড়ান্ত মানসিক চাপে রয়েছি। কী করব বুঝতে পারছি না। আমার ওপর আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা।’
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে ভারতের কুখ্যাত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং গ্রেফতারের পর বারবারই হানিপ্রিত ইনসানের নাম খবরের শিরোনামে আসে।
তিনি ধর্ষক ধর্মগুরুর দত্তক মেয়ে ও রাম রহিমের পর ডেরা সচ্চা সৌদাপ্রধান বলে খবর প্রচার হয়। এরই মধ্যে হানিপ্রিতের বিরুদ্ধে ভয়াবহ এক অভিযোগ আনেন তারই সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত।
তিনি আদালতে অভিযোগ করেন, পালিত মেয়ে হানিপ্রিতের সঙ্গে নাকি শারীরিক সম্পর্ক ছিল ‘বাবা’ রাম রহিমের এবং সেই সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। এ খবরে তোলপাড় শুরু হয় ভারতজুড়ে।
তবে অন্যসব অভিযোগের মতো সাবেক স্বামীর সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন হানিপ্রিত। তিনি জানিয়েছিলেন, বাবার সঙ্গে তার সম্পর্ক পুত্র ও পবিত্র।