বিজেপির নজর এড়াতে এমএলএদের লুকিয়ে রাখছে শিবসেনা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০১:০৫ এএম
বিজেপির সর্বনাশী নজর এড়াতে দলীয় এমএলএদের লুকিয়ে রেখেছে শিবসেনা সংগঠন।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে মহাজটে পড়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই দুই জোটসঙ্গী। শুরু হয়েছে সরকার গঠনের ঠাণ্ডাযুদ্ধ।
গুঞ্জন চলছিল কর্নাটকের মতো মহারাষ্ট্রেও বিধায়ক কেনার সুড়ঙ্গেই ঢুকবে বিজেপি। সেই আশঙ্কায় সত্যি হল।
বৃহস্পতিবার সরকার গঠন নিয়ে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ এনে বিজেপিকে তোপ দেগেছে সেনাশিবির।
শিবসেনার মুখপত্র সামনার একটি প্রতিবেদনে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে লেখা হয়েছে যে, মহারাষ্ট্রের জনগণ রাজ্যে শিবসেনার থেকে মুখ্যমন্ত্রী চায়।
কিন্তু জনগণের এই ইচ্ছাকে সম্মান না জানিয়ে বিজেপি টাকার খেলায় মেতেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এই ভয়েই দলের কিছু 'ঝুলন্ত' বিধায়ককে বান্দ্রা-কুরলা অঞ্চলে একটি পাঁচতারা হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করছে সেনাশিবির। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে এদিন বৈঠকেও বসেন নেতারা।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উদ্ধবজি বিধায়কদের সঙ্গে শিবসেনার পলিসি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বললেন, আমরা শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ব।
দেবেন্দ্র ফড়নবিশই ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এদিন আচমকাই দিলি্ল থেকে নাগপুরে উড়ে যান গড়করি।
সেখানে আরএসএসের সদর দফতরে গিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। অনেকের ধারণা হয়, কীভাবে শিবসেনার সঙ্গে বিরোধের নিষ্পত্তি করা যাবে তা নিয়ে সঙ্ঘের নেতাদের সঙ্গে গড়করি কথা বলেছেন।
ফলাফল প্রকাশের ১৪ দিন পরেও সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি মহারাষ্ট্রে। আজ শেষ সময়।
ব্যর্থ হলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে রাজ্যে। সদ্য প্রকাশিত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি আসন, শিবসেনার ঝুলিতে এসেছে ৫৬টি আসন।
২৮৮টি আসন বিশষ্টি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। দুই দলের সম্মিলিত সংখ্যা খুব সহজেই ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করেছে।
কিন্তু সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বাধ সেধেছে সেনার মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি। ফলপ্রকাশের পরেই সেনা ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলা নিয়ে সরব হয়।