বাংলাদেশ সীমান্তে ইসরাইলি ড্রোন ব্যবহার করছে ভারত

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:৪৩ পিএম

ইসরাইলি টেদার ড্রোন। ছবি: সংগৃহীত
উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আকাশ পথের পাশাপাশি পানি ও মাটির নিচ থেকেও বাংলাদেশ সীমান্তে নজর রাখবে ভারত। এ জন্য ইসরাইল থেকে কেনা ড্রোন ব্যবহার করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সোমবার বিএসএফ সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ খবর জানিয়েছে।
মেঘালয় থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ধুবড়ি সেক্টরের জন্য ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী ইসরাইলি টেদার ড্রোন সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল থেকে কেনা প্রত্যেকটি ড্রোনের মূল্য ৩৭ লাখ রুপি। এগুলো ব্যবহার করে দিন-রাত সবসময়ই ভালো ছবি সংগ্রহ করা যায়। এর মাধ্যমে প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকে ব্যবহার করে সীমান্তে নজর রাখা সম্ভব।
বিএসএফের গুহাটি ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল পিযূষ মোরদিয়া দ্য হিন্দুকে বলেন, পাচারের মতো অপরাধগুলো সাধারণত রাতে সংঘটিত হয়। দৃষ্টিসীমার আড়ালে থাকা স্থানগুলোতে নজরদারি করাও বেশ কঠিন। তবে টেদার ড্রোনগুলো ১৫০ মিটার ওপর থেকে অব্যাহতভাবে ছবি তুলে পাঠাতে সক্ষম। ফলে আমাদের নজরদারির ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতির সীমাবদ্ধতা অনেকটাই কমে গেছে।
স্বাভাবিক ও টেদার ড্রোনের পার্থক্য নিয়ে বলতে গিয়ে পিযূষ বলেন, আগের ড্রোনগুলো ৩০ মিনিট পরই চার্জের জন্য নামিয়ে আনতে হতো । এছাড়া একটু ঝড়ো বাতাসেই উড়ে যেত সেগুলো। আর ধুবড়ি অঞ্চলে বাতাসও অনেক।
তিনি আরও বলেন, ড্রোন ছাড়াও বিএসএফ থার্মাল ইমেজার মোতায়েন করেছে, যার মাধ্যমে মানুষ ও প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রার মাধ্যমে তাদের চলাচল শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া নজরদারির জন্য মাটি ও পানির নিচেও সেন্সর বসানো হয়েছে ।