এরদোগানের শর্তপূরণ হওয়ায় উত্তর সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৩৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত
সীমান্ত এলাকা বরাবর পরিকল্পিত নিরাপত্তা অঞ্চল থেকে কুর্দিশ বাহিনী সরে যাওয়ার শর্তে সিরিয়ায় অভিযান ও হামলা পাঁচ দিনের জন্য বন্ধে রাজি হয়েছে তুরস্ক।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও তুরস্কের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার এক অনিশ্চিত বৈঠকের পর এমন ঘোষণা এসেছে।
১২০ ঘণ্টার হামলা বন্ধের সম্মতিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তুরস্কের অভিযান শুরু হওয়ায় ন্যাটোমিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সংকট নজিরবিহীন বাড়ছিল।
কুর্দিদের ঝুঁকির মুখে ফেলে সরে আসায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও তোপ দেগেছিলেন সমালোচকরা।
পেন্সের আংকারা সফরের পর দুই দেশ এ চুক্তিতে পৌঁছায়। সীমান্ত থেকে ৩২ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত এলাকা থেকে কুর্দিশ যোদ্ধাদের সরে যেতে হবে। এতে দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কের চাওয়া একটি নিরাপত্তা অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে।
কুর্দি যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে আসছে তুরস্ক। উত্তর সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে তুরস্কের অভিযানের পথ তৈরি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
যদিও দেশটির বিরুদ্ধে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন এবং আংকারার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়ারও হুমকি দেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে প্রত্যাশিত সময়ের চেয়েও কয়েক ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠকের পর পেন্স সাংবাদিকদের বলেন, সিরীয় ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) যোদ্ধাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্তে তুরস্কের অভিযান পুরোপুরি স্থগিত করা হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে তুরস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হবে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার মধ্যে তাদের প্রত্যাহার সহজ করে দিতে ওয়াইপিজির সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এসডিএফ প্রধান মাজলুম আবদি বলেন, রাস আল-আইন থেকে তাল-আবায়েদ পর্যন্ত পুরো অঞ্চলজুড়ে অস্ত্রবিরতি মেনে চলতে তারা প্রস্তুত।
এর আগে এরদোগানকে এ অভিযান শুরু না করার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু তিনি এর কোনো তোয়াক্কা না করে বরং চিঠি ডাস্টবিনে ফেলে দেন এবং সিরিয়া অভিযান শুরু করেন।